×

এশিয়া

চীনা পণ্যে আরো ১০০% শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম

চীনা পণ্যে আরো ১০০% শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের

ছবি : সংগৃহীত

আগামী মাস থেকে চীন থেকে আমদানি করা পণ্যে আরো ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সংবেদনশীল সফটওয়্যার রপ্তানিতেও নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প বলেন, বেইজিং সাম্প্রতিক সময়ে দুর্লভ খনিজ রপ্তানি নীতি কঠোর করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈরি আচরণ করছে এবং বিশ্বকে জিম্মি করে রাখার চেষ্টা করছে।

বিবিসির খবরে জানা গেছে, তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আসন্ন বৈঠক বাতিলের হুমকিও দিয়েছেন। যদিও পরে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমি বৈঠক বাতিল করিনি, তবে শেষ পর্যন্ত তা হবে কিনা জানি না। তা সত্ত্বেও আমি সেখানে যাবো।

চীন বর্তমানে দুর্লভ খনিজ, সেমিকন্ডাক্টর ও সংবেদনশীল প্রযুক্তির কাঁচামাল উৎপাদনে একক কর্তৃত্ব ধরে রেখেছে। গাড়ি, স্মার্টফোনসহ বিভিন্ন অত্যাধুনিক যন্ত্র তৈরিতে এসব খনিজ অপরিহার্য।

আরো পড়ুন : মার্কিন সেনাবাহিনীকে বিস্ফোরক সরবরাহ করা কোম্পানিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ

চলতি বছরের শুরুর দিকে ট্রাম্প প্রশাসন চীনা পণ্যে শুল্ক বাড়ানোর পর বেইজিং দুর্লভ খনিজ রপ্তানিতে কড়াকড়ি আরোপ করলে মার্কিন শিল্পখাত চরম সংকটে পড়ে। এমনকি গাড়িনির্মাতা ফোর্ডকেও কিছু সময়ের জন্য উৎপাদন বন্ধ রাখতে হয়।

এদিকে চীন মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান কোয়ালকমের বিরুদ্ধে বাজারে একচেটিয়া প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে। এর ফলে কোয়ালকমের নতুন একটি চিপনির্মাতা কোম্পানি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া থমকে যেতে পারে। কোয়ালকমের ব্যবসার বড় অংশই চীনে অবস্থিত।

বেইজিং আরো জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানাধীন বা পরিচালিত জাহাজগুলো তাদের বন্দর ব্যবহার করলে নতুন ফি দিতে হবে।

শুক্রবার এক পোস্টে ট্রাম্প মন্তব্য করেন, খুবই অদ্ভুত কিছু ঘটছে চীনে। তারা অত্যন্ত বৈরি হয়ে উঠছে।

দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই ট্রাম্প প্রশাসন শুল্কনীতি নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। এর আগে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র একে অপরের পণ্যে পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ করে বাণিজ্যযুদ্ধের উত্তাপ চরমে তুলেছিল।

তবে চলতি বছরের মে মাসে দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছে শুল্ক অনেকটাই কমায়। বর্তমানে চীনা পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে ৩০% বাড়তি শুল্ক গুনছে, আর মার্কিন পণ্যের ওপর চীনে ১০% শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে।

এরপর থেকে টিকটক, কৃষিপণ্য, দুর্লভ খনিজ ও সেমিকন্ডাক্টরসহ বিভিন্ন বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ মাসে দক্ষিণ কোরিয়ায় নির্ধারিত সম্মেলনেও দুই পক্ষের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, চীন যুক্তরাষ্ট্রকে সেমিকন্ডাক্টর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে চাপ দিচ্ছে এবং একটি স্থিতিশীল শুল্কনীতি চায়, যাতে তাদের কোম্পানিগুলোর যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা সহজ হয়।

চীনের সাম্প্রতিক রপ্তানি নীতিতে দেখা যাচ্ছে, তারা বিদেশি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাতা কোম্পানিগুলোকেও নতুন করে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে।

ওয়াশিংটনভিত্তিক সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের গুরুত্বপূর্ণ খনিজ নিরাপত্তা কর্মসূচির পরিচালক গ্রেসেলিন বাস্কারানের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের হাতে বিকল্প সীমিত হওয়ায় আলোচনায় বসা ছাড়া উপায় নেই। ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার এই সময়ে আমাদের প্রতিরক্ষাভিত্তিক শিল্প শক্তিশালী করা জরুরি, তিনি বলেন।

তবে বাস্কারান মনে করেন, ট্রাম্প-শি বৈঠকের সম্ভাবনা পুরোপুরি বাতিল হয়নি। চীনের নতুন নিয়মগুলো ডিসেম্বরের আগে কার্যকর হচ্ছে না। তাই আলোচনার সুযোগ এখনও আছে। সময় ও আলোচকদের নাম শিগগিরই নির্ধারিত হবে, তিনি যোগ করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

একলাফে স্বর্ণের দাম কমলো ৮৩৮৬ টাকা

একলাফে স্বর্ণের দাম কমলো ৮৩৮৬ টাকা

ডলারের দাম আরও বাড়ল

ডলারের দাম আরও বাড়ল

পদ্মহেম ধামের সাধুসঙ্গ ২৩ অক্টোবর

পদ্মহেম ধামের সাধুসঙ্গ ২৩ অক্টোবর

আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ইনস্টিটিউট হচ্ছে পাবনা মানসিক হাসপাতাল

আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ইনস্টিটিউট হচ্ছে পাবনা মানসিক হাসপাতাল

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App