চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী-স্থানীয়দের সংঘর্ষে আহত ২০

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৫, ০৮:২১ এএম

বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের এক ছাত্রীকে মারধরের জেরে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ছবি : সংগৃহীত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে ২০ জনের বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শনিবার দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের এক ছাত্রীকে মারধরের জেরে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
জানা যায়, ভুক্তভোগী ছাত্রী ওই এলাকায় একটি ভবনে ভাড়া থাকেন। রাত সোয়া ১২টার দিকে তিনি ভবনে প্রবেশ করতে চাইলে দারোয়ান দরজা খুলতে অস্বীকৃতি জানান। পরে ছাত্রীটি জোরে ডাকলে দারোয়ান অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন এবং এক পর্যায়ে তার গলায় চড় মারেন। ভুক্তভোগীর রুমমেটরা ছুটে এলে দারোয়ান তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন ও লাথি মারেন।
তিনি জানান, আমি প্রতিদিন সময়মতো বাসায় ফিরি। আজও রাত ১২টার মধ্যেই চলে আসি। দরজা খুলতে বললে দারোয়ান গালাগাল করেন এবং পরে শারীরিকভাবে আঘাত করেন। আমি আত্মরক্ষার চেষ্টা করলে রুমমেট ও আশপাশের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসেন।
ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা দারোয়ানকে ধরতে গেলে তিনি পালিয়ে যান। তাকে ধাওয়া করলে স্থানীয়রা শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এসময় সংঘর্ষে রূপ নেয় পরিস্থিতি।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, স্থানীয়দের হামলায় ২০ জনের অধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের নেতা আল মাসনূন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সংগঠনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার মুখ্য সংগঠক সাব্বির হোসেন বলেন, মাসনূনকে কোপানো হয়েছে।
এ ছাড়া আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেনও আহত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক মোহাম্মদ টিপু সুলতান জানান, ‘তার চোখের নিচে আঘাতের কারণে রক্তপাত হয় এবং গভীর ক্ষত তৈরি হয়। তিনটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত পৌনে ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. কোরবান আলী ও নাজমুল হোসাইন পুলিশের সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও ২ নম্বর গেট এলাকায় প্রবেশ করতে পারেননি। পুরো এলাকা তখন স্থানীয়দের নিয়ন্ত্রণে ছিল। পরবর্তীতে রাত সাড়ে ৩টার দিকে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর নুরুল হামিদ জানান, ‘আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম না। তবে যতটুকু জেনেছি, সহকারী প্রক্টর নাজমুল ও কোরবান স্যার আহত হয়েছেন। সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং তারা ঘটনাস্থলে রওনা দিয়েছেন।’