×

রাজধানী

চার কারণে বায়ুদূষণ

বায়ুদূষণে ‘বিশ্বচ্যাম্পিয়ন’ ঢাকা

Icon

সেবিকা দেবনাথ

প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৩৯ পিএম

বায়ুদূষণে ‘বিশ্বচ্যাম্পিয়ন’ ঢাকা

ছবি : সংগৃহীত

শীত এলেই প্রতিবার বায়ুদূষণ ‘অত্যধিক’ মাত্রায় পৌঁছে যায়; এবারো বাড়ছে। প্রায় দিনই বিশ্বে বায়ুদূষণের নতুন রেকর্ড করছে বাংলাদেশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত- এই ৬ মাসে সারা বছরের প্রায় ৬০ থেকে ৭০ ভাগ বায়ু দূষিত হয়। এতে বাড়ে বয়স্ক ও শিশুদের ভোগান্তি। তাদের কাশি, শ্বাসকষ্টের মতো নানা শারীরিক জটিলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। গতকাল সোমবার সকাল ৯টায় আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ২৭১ স্কোর নিয়ে বায়ুদূষণে শীর্ষে ছিল রাজধানী ‘ঢাকা’। বাতাসের এই মান নাগরিকদের জন্য ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক এই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের তথ্য অনুাযায়ী, একই সময় ২৬০ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল মিসরের শহর ‘কায়রো’;  ২৫১ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে ছিল ভারতের রাজধানী ‘দিল্লি’। এর আগে ৪ ডিসেম্বরও বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে ছিল এই মেগাসিটি। ওই দিন সকালে ঢাকার স্কোর ছিল ৩০২। ৭ ডিসেম্বর বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ছিল ৩য়। ঢাকার স্কোর ছিল ২৪২।

ঢাকার যে ১০ এলাকায় বায়ুদূষণ ছিল বেশি : গতকাল রাজধানীর ১০টি এলাকায় বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি ছিল। এই এলাকাগুলো হলো- মিরপুরের দক্ষিণ পল্লবী (২৯০), ইস্টার্ন হাউজিং (২৮৪), মাদানী অ্যাভিনিউয়ের বে’জ এইজ ওয়াটার আউটডোর (২৮০), কল্যাণপুর (২৭০), পুরান ঢাকার বেচারাম দেউড়ি (২৬২), খিলগাঁওয়ের গোড়ান (২৫৫), গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২৪৪), তেজগাঁওয়ের শান্তা ফোরাম (২৩৩), পেয়ারাবাগ রেললাইন এলাকা (১৯৮) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুকাররাম ভবন এলাকা (১১১)।

আইকিউএয়ার বায়ুদূষণের অবস্থা নিয়মিত তুলে ধরে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয়, সতর্ক করে। আইকিউএয়ারের সূচক অনুযায়ী, শূন্য থেকে ৫০ স্কোর মানে বাতাস ভালো, ৫১ থেকে ১০০ স্কোরে বাতাস মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর বাতাসকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর করে তোলে। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘসময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেয়া হয়। ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরের মধ্যে থাকলে তা অস্বাস্থ্যকর, ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর এবং ৩০১ এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়। 

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন- বস্তুকণা (পিএম ১০ ও পিএম ২ দশমিক ৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো পিএম ২ দশমিক ৫ এর উপস্থিতি- যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত দৈনিক নির্দেশিকা মানের তুলনায় ১৪ গুণ বেশি। 

সব বয়সী মানুষের জন্যই তা ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। স্ট্রোক, হৃদরোগ ও ফুসফুসের রোগের সঙ্গে ক্যানসারজনিত মৃত্যু ১৪ শতাংশ বাড়ে। স্টেট অব গ্লোবাল এয়ার তাদের ২০২৪ সালের প্রতিবেদনে বলেছে, বিশ্বব্যাপী শুধু ২০২১ সালেই ৮০ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বায়ুদূষণের কারণে। আর বাংলাদেশে এই মৃত্যুর সংখ্যা ২ লাখ ৩৫ হাজার।

আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বায়ুদূষণের কারণে বিশ্বের সব মানুষের গড় আয়ু ২ বছর ৪ মাস কমছে। অপরপক্ষে বাংলাদেশের একজন নাগরিকের গড় আয়ু কমছে ৬ বছর ৮ মাস এবং সবচেয়ে দূষিত শহর ঢাকার বাসিন্দারা আয়ু হারাচ্ছেন গড়ে প্রায় ৮ বছর। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকায় সন্তানসম্ভবা মায়েদের ওপর বায়ুদূষণের বিরূপ প্রভাব পড়ছে। গর্ভাবস্থায় বেশি বায়ুদূষণের শিকার মায়েদের মধ্যে কম ওজনের শিশু জন্ম দেয়ার হার বেশি। অকালে সন্তান জন্মদানের ঝুঁকিও তাদের মধ্যে বেশি। বায়ুদূষণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার ও শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে। 

শীতকালের আবহাওয়া শুষ্ক থাকে; তাই এ সময় বায়ুদূষণ বেশি থাকে বলে জানান স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং বায়ুমÐলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) চেয়ারম্যান ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার। তিনি বলেন, অক্টোবর থেকে মার্চ এই ৫-৬ মাস অত্যধিক মাত্রায় দূষণ লক্ষ্য করা যায়। সারা বছরের প্রায় ৬০ থেকে ৬৫ ভাগ দূষণ এই সময়ে হয়ে থাকে। 

তিনি আরো বলেন, এলাকাভিত্তিক চিন্তা করলে, ঢাকার সবখানেই বায়ুদূষণের মাত্রা প্রায় একই থাকে। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকার যে এলাকায় নির্মাণকাজ চলে সেখানে দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই এর শিকার হচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ও দূষণ বিশেষজ্ঞ আবদুস সালাম সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বায়ুদূষণ মোকাবিলায় দেশে বিভিন্ন সময় প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এখনো নানা উদ্যোগের কথাবার্তা শোনা যায়। কিন্তু বায়ুদূষণ পরিস্থিতির দিন দিন খারাপ হচ্ছে। এটা শুধু যে ঢাকায়- তা নয়, সারাদেশে। কোনো কোনো দিন ঢাকাকে ছাপিয়ে যাচ্ছে দেশের অন্যান্য শহরের বায়ুর মান। অথচ বায়ুদূষণ নিয়ে শুধু কথাবার্তা ছাড়া আসলে কোনো কিছু হয় না। শীত বা শুষ্ক মৌসুম এলে যখন বায়ুদূষণ বাড়ে, তখন উচ্চপর্যায়ের একটা কমিটি করা হয়। আর বায়ুদূষণ কমে গেলে বা শুকনা মৌসুম চলে গেলে সেই কমিটি নিয়ে আর কোনো কথাবার্তা হয় না। এটা বরাবর চলে আসছে, এখনো চলছে। তবে আমরা হতাশ হতে চাই না। আমরা সরকারকে অনুরোধ করব, যথাসম্ভব প্রয়োজনীয় সুরক্ষাব্যবস্থা নেয়ার জন্য। 

এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ুমান ব্যবস্থাপনা শাখার উপপরিচালক বেগম শাহানাজ রহমান জানান, বায়ুদূষণ এড়াতে তারা কর্তৃপক্ষকে নিজেদের দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দেয়ার পাশাপাশি ‘হটস্পট’ চিহ্নিত করে সেখানে বায়ুদূষণ বাড়ে এমন কাজ না করার নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনকে পানি ছিটাতে, ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট করতে নিয়মিতই অবহিত করা হচ্ছে। জনসাধারণেরও সচেতন করার কাজ করছেন বলে জানান তিনি। পরিবেশ অধিদপ্তরের নেতৃত্বে বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় দূষণবিরোধী অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। তবে তা খুবই কম বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে দূষণের তালিকায় বারবারই ঢাকা শীর্ষে চলে আসার পেছনে সুনির্দিষ্ট কিছু কারণকে চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সেগুলো হলো- 

নির্মাণকাজ : রাজধানীতে সারাবছরই ছোট-বড় অজস্র ভবন নির্মাণ এবং রাস্তা মেরামতের কাজ চলে। এর পাশাপাশি গত কয়েক বছরে যোগ হয়েছে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ বিভিন্ন বড় প্রকল্প। রাস্তা ও ভবন নির্মাণ বা মেরামতের সময় ধুলাবালি যেন বাতাসের সঙ্গে মিশে না যায়, সেজন্য নির্মাণ স্থানে যথাযথ অস্থায়ী ছাউনি বা বেষ্টনী দেয়ার নিয়ম রয়েছে। সেই সঙ্গে, বেষ্টনীর ভেতর ও বাইরে নির্মাণ সামগ্রী (মাটি, বালি, রড, সিমেন্ট ইত্যাদি) যথাযথভাবে ঢেকে রাখা এবং দিনে কমপক্ষে দুইবার স্প্রে করে পানি ছিটানোর কথা বলা আছে এতে। এছাড়া, নির্মাণাধীন রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখে বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা করা, দ্রুততম সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামত করা এবং নির্মাণসামগ্রী ঢেকে পরিবহন করার কথাও বলে অধিদপ্তর। ভবন ও রাস্তাঘাট নির্মাণের ক্ষেত্রে যদি কেউ এসব নিয়ম পালন না করে, সেক্ষেত্রে ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্ত করার পাশাপাশি জরিমানা আরোপ করতে পারবে সিটি করপোরেশন। কিন্তু এর নজির খুব একটা দেখা মেলে না।

ইটভাটা ও শিল্প কারখানা : ক্যাপসের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার আশপাশের কয়েক হাজার ইটভাটা, ছোট-বড় কয়েক হাজার শিল্প কারখানা বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ। ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত কয়লা, কাঠের ব্যবহার থেকে প্রচুর ছাই তৈরি হয় এবং কার্বন মনোঅক্সাইড, সালফার অক্সাইড ও কার্বন ডাই-অক্সাইডের মতো দূষিত কণা বাতাসের সঙ্গে মেশে। তবে অবৈধ এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ইটভাটার বিরুদ্ধে প্রায়ই অভিযান পরিচালনা করছে, জরিমানাও আদায় করছে পরিবেশ অধিদপ্তর। কিন্তু অভিযোগ আছে, সরকারের লোকজন অভিযান চালিয়ে যাওয়ার পর পুনরায় তা চালু করছেন মালিক পক্ষ। 

যানবাহন : নিষেধ থাকার পরও শহরের সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ফিটনেসবিহীন যানবাহন, বিশেষ করে বাস ও ট্রাক। কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন করে বিকট শব্দে ছুটে চলছে এসব যান। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকা শহরে যে পরিমাণ বাস চলে, তার ৭০ শতাংশেরই আয়ুষ্কাল শেষ। কোনো যানবাহনের এই আয়ুষ্কাল শেষ হয়ে গেলে সেগুলো ঠিকভাবে জ্বালানি পোড়াতে পারে না এবং তখন সেগুলোর ধোঁয়ার সঙ্গে ক্ষতিকর রাসায়নিক নির্গত হয়। রাস্তায় যখন মোবাইল কোর্ট থাকে, তখন রাস্তায় আর গাড়ি থাকে না। ফলে ৬০ শতাংশের কাছাকাছি গণপরিবহন রাস্তা থেকে উধাও হয়ে যায়। ফলে পরিবেশ দূষণ কমার বদলে বেড়েই চলছে। 

বর্জ্য পোড়ানো : ক্যাপসের গবেষণা অনুযায়ী, ঢাকার যেসব এলাকায় বর্জ্য পোড়ানো হয়, সেসব এলাকাতেই বায়ুদূষণ বেশি হচ্ছে। ময়লার স্তূপ যেখানে থাকে, সেখানে মিথেন গ্যাস উৎপন্ন হয়। অনেক সময় এই মিথেন গ্যাসের দুর্গন্ধ থেকে বাঁচার জন্য পরিচ্ছন্নকর্মীরা আগুন জ্বালায়। আবার, অনেক বাসাবাড়িতে বা মহল্লায় বর্জ্য পোড়ানোকে সেরা সমাধান হিসেবে ভাবা হয়। অথচ এই বর্জ্য পোড়ানো একটি ভুল ধারণা এবং এতে যে বায়ুদূষণ হয়, এটি মানুষের মাথায় থাকে না।

রিজিওনাল এয়ার পলিউশন : পাশ্ববর্তী দেশের দূষিত বাতাসও দেশে প্রবেশ করে বাতাসকে দূষিত করছে। ঢাকার পাশাপাশি ভারতের দিল্লিসহ বিভিন্ন শহরের নামও ওঠে আসছে দূষিত শহরের তালিকায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্ষাকালে দেশের বাতাসের মান ভালো থাকলেও জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারির দিকে ভারতের দিল্লি, হরিয়ানা, মধ্য প্রদেশসহ বিভিন্ন জায়গায় বাতাসের মান থাকে দূষিত। যেহেতু শুষ্ক মৌসুমে ভারতের অংশ থেকে বাংলাদেশের দিকে বায়ু প্রবাহিত হয়, সেহেতু সেই দূষিত বায়ু বাংলাদেশে প্রবেশ করে দেশের বায়ুদূষণের মাত্রাকে বাড়িয়ে দেয়। একে বিশেষজ্ঞরা ট্রান্স-বাউন্ডারি এয়ার পলিউশন বা রিজিওনাল এয়ার পলিউশন বলছেন। 

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

পদে থেকে কোনো উপদেষ্টা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না

ইসি আনোয়ারুল পদে থেকে কোনো উপদেষ্টা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না

বায়ুদূষণে ‘বিশ্বচ্যাম্পিয়ন’ ঢাকা

চার কারণে বায়ুদূষণ বায়ুদূষণে ‘বিশ্বচ্যাম্পিয়ন’ ঢাকা

যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম অধিকার সংগঠনকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ ঘোষণা

যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম অধিকার সংগঠনকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ ঘোষণা

ডেঙ্গুতে মৃত্যু ছাড়ালো ৪০০

ডেঙ্গুতে মৃত্যু ছাড়ালো ৪০০

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App