২৫৬ কেন্দ্রে একযোগে শুরু ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:২২ এএম

দেশের আট বিভাগীয় শহরের মোট ২৫৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একযোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ পরীক্ষা। ছবি : সংগৃহীত
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা, যা চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। দেশের আট বিভাগীয় শহরের মোট ২৫৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একযোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ পরীক্ষা। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) তত্ত্বাবধানে লক্ষাধিক প্রার্থী এতে অংশ নিচ্ছেন।
বিপিএসসির বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, পরীক্ষার্থীদের সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশের সময়সীমা ছিল। নির্ধারিত সময়ের পর গেট বন্ধ হয়ে যায়, ফলে দেরিতে আসা পরীক্ষার্থীরা আর প্রবেশ করতে পারেননি। আসন বিন্যাস, সময়সূচি ও কেন্দ্রসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য কমিশনের ওয়েবসাইট ও টেলিটকের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদের মোবাইল ফোনে মেসেজের মাধ্যমেও জানানো হয়।
আরো পড়ুন : ঢাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা, তাপমাত্রা অপরিবর্তিত
প্রবেশপত্রে উল্লেখিত তথ্য ও ছবির সঙ্গে উপস্থিতির তালিকার ছবি ও স্বাক্ষর মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনো গরমিল ধরা পড়লে প্রার্থিতা বাতিলের পাশাপাশি আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র চার সেটে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি সঠিক উত্তরে এক নম্বর যোগ হবে, আর ভুল উত্তরের জন্য কাটা যাবে শূন্য দশমিক পাঁচ নম্বর। দুই ঘণ্টার পরীক্ষায় কোনো পরীক্ষার্থী কক্ষ ত্যাগ করতে পারবেন না।
পরীক্ষাকেন্দ্রে বই-পুস্তক, মোবাইল, ঘড়ি, ক্যালকুলেটর, ব্যাগ, গহনা ও ইলেকট্রনিক ডিভাইস আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। প্রবেশের সময় মেটাল ডিটেক্টরে তল্লাশি করা হচ্ছে। নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ হলে প্রবেশ করলে কিংবা নকলের সঙ্গে যুক্ত থাকলে প্রার্থিতা বাতিলের পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য রাখা হয়েছে বিশেষ সুবিধা। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা শ্রুতিলেখক পাচ্ছেন এবং তাঁদের জন্য প্রতি ঘণ্টায় ১০ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হচ্ছে। অন্য প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য বাড়তি সময় হচ্ছে প্রতি ঘণ্টায় পাঁচ মিনিট। প্রবেশপত্র ছাড়া হলে প্রবেশের সুযোগ নেই। তবে প্রবেশপত্র হারালে কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে নতুন করে ডাউনলোড করা যাবে।
এ ছাড়া ইংরেজি ভার্সনে অংশগ্রহণকারীদের জন্য আলাদা আসন বিন্যাস ও প্রশ্নপত্র ছাপানো হয়েছে। কারও জন্য ভার্সন পরিবর্তনের সুযোগ নেই বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, পরীক্ষায় অনিয়ম, গরমিল বা অসদাচরণের প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রার্থিতা বাতিল করা হবে এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইন, ২০২৩ অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।