স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, যুবদল কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

সৈয়দ মনির আহমদ, ফেনী
প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৫, ০৩:৩৭ পিএম

ছবি : প্রতীকী
ফেনীর পাঁচগাছিয়ায় স্বামীকে আটকে রেখে তার স্ত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দুই যুবদল কর্মী ও তাদের সহযোগীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শনিবার (২৩ আগস্ট) ভুক্তভোগী নারী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার আসামি করা হয়েছে মাথিয়ারা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে যুবদল কর্মী কামরুল ইসলাম (৩৮), জয়নাল আবেদীনের ছেলে যুবদল কর্মী মহিম (৩৫) এবং তাদের সহযোগী রকি (২২)। ঘটনার পর থেকে তারা পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ছয় মাস আগে লক্ষ্মীপুরের রামগতি থেকে এসে ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারা এলাকার বসবাস করেন ভুক্তভোগী। ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতেন তিনি।
অভিযোগ রয়েছে, কয়েক মাস ধরে স্থানীয় বখাটেরা বাবলুর কাছে চাঁদা দাবি করছিল এবং তার স্ত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিল।
গত মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রাতে রকি নামে এক যুবক তাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে গভীর রাতে তার অবস্থা খারাপ বলে তার স্ত্রীকে বাইরে নিয়ে যায় তারা। ভুক্তভোগী নারীকে কলোনীর পাশে একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে গিয়ে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে স্বামীকে মারধর ও মাদক দিয়ে পুলিশে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়। এরপর ভয়ভীতি প্রদর্শন করে কামরুল, মহিম ও রকি তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
আরো পড়ুন : পাবনায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবদল নেতা নিহত
ওই নারীর স্বামী বলেন, রাতভর তারা আমাকে বেঁধে মারধর করেছে এবং আমার স্ত্রীকে ধর্ষণ করেছে। আমার স্ত্রী দুই সন্তানের মা। আমি এর ন্যায়বিচার চাই।
অভিযোগের বিষয়ে প্রধান আসামি কামরুল ইসলাম দাবি করেন, আমি যুবদলের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তবে পুরো ঘটনাটি রাজনৈতিকভাবে সাজানো মিথ্যাচার।
ফেনী জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নঈম উল্লাহ চৌধুরী জানান, পাঁচগাছিয়ার মাথিয়ারায় কামরুল ও মহিম নামে বর্তমানে যুবদলের কোনো কর্মী নেই। তারপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
ফেনী মডেল থানার ওসি মো. শামছুজ্জামান বলেন, ভুক্তভোগী নারী থানায় এজাহার জমা দিয়েছেন। তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আসামিরা ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে, তাদের ধরতে অভিযান চলছে।