যেভাবে গ্রেপ্তার হলেন বিচারপতি মানিক

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ১০:২০ এএম

গ্রেপ্তারের পর বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
ভারতে পালানোর সময় সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্ত থেকে রাত ১১টা ২০ মিনিটে তাকে আটক করা হয়। বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জকিগঞ্জ বিজিবি ব্যাটালিয়ন জানায়, শুক্রবার রাতে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত এলাকা থেকে শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে আটক করা হয়েছে। পরে রাত ১২টা পর্যন্ত তাকে সীমান্তবর্তী বিজিবি ক্যাম্পে রাখা হয়। তাকে আটকের সময়ের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
পালিয়ে যাওয়ার সময় নগদ ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকা, ব্রিটিশ পাসপোর্টসহ ব্যক্তিগত বিভিন্ন সামগ্রী সঙ্গে নিয়েছিলেন মানিক। কিন্তু যাদের সঙ্গে তিনি পালিয়ে যাওয়ার চুক্তি করেছিলেন, তারাই নগদ সব টাকা নিয়ে চলে যান তাকে একা ফেলে। তবে আটকের সময় বিজিবি তার কাছ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা জব্দ করেছে।
আরো পড়ুন : সাবেক বিচারপতি মানিকের বিরুদ্ধে মামলা, পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ
আটকের আগে মারধরের শিকার হয়েছেন দাবি করে সাবেক এই বিচারপতি বলেন, ‘আমি ১৫ হাজার টাকা চুক্তিতে আসছিলাম, ওই টাকা আমি তাদের দিয়েছি। কিন্তু পরে ওই দুই ছেলে আমাকে মারধর করে সব নিয়ে গেছে। কোন এলাকায় মারধর করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইন্ডিয়ার ভেতরে।’
আটকের পর বিজিবির সদস্যরা বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন মানিককে। কী কী নিয়ে পালাচ্ছিলেন— বিজিবি সদস্যদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে ছিল ব্রিটিশ পাসপোর্ট, বাংলা পাসপোর্ট, নগদ কিছু টাকা, ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড।’
এ সময় পাশ থেকে একজন জানতে চান, ‘আজকে আটকের সময় আপনার সঙ্গে কী ছিল?’ জবাবে সাবেক এই বিচারপতি বলেন, ‘তেমন কিছু ছিল না। চল্লিশ হাজারের মতো টাকা ছিল। গতকাল ৬০-৭০ লাখ টাকার মতো ছিল। ওটা নিয়ে গেছে।’ নৌকাওয়ালা নিয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেগুলো ওই দুই ছোকরাই নিয়েছে। আমার সঙ্গে কিচ্ছু নাই, ফোন- ফোন নম্বর সব নিয়ে গেছে।’
আপনি পালিয়ে যাচ্ছিলেন কেন প্রশ্ন করা হলে মানিক বলেন, ‘প্রশাসনের ভয়ে পালিয়ে যেতে চাচ্ছিলাম।’ তখন অপর পাশ থেকে একজন বলেন, ‘আপনি তো অনেক জুলুম করেছেন।’ তখন তিনি বলেন, ‘আমি কোনো জুলুম করিনি।’