জ্বালানি উপদেষ্টা
চাকরি অধ্যাদেশের কিছু ধারা অপপ্রয়োগের আশঙ্কা আছে

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৫, ০৩:১৩ পিএম

উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান । ছবি : সংগৃহীত
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর কয়েকটি ধারা অপপ্রয়োগের আশঙ্কা রয়েছে।
রবিবার (১ জুন) সচিবালয়ে সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারী বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মচারী ঐক্য ফোরামের নেতৃত্বে কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠকের পর উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
এ সময় কর্মচারীরা উপদেষ্টাকে অধ্যাদেশটি বাতিলের দাবিতে স্মারকলিপি দেন। তারা অধ্যাদেশ বাতিলের স্বপক্ষে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরেন।
কর্মচারীদের দাবির বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদের নজরে আনা হবে জানিয়ে ফাওজুল কবির বলেন, এখানে (অধ্যাদেশে আসবে) কিছু প্রভিশন (ধারা) আছে, যেগুলোর অপপ্রয়োগ হওয়ার আশঙ্কা আছে। আমি এটি নিয়ে আলোচনা করব।
উপদেষ্টা বলেন, আপনাদের (কর্মচারী) যে অবস্থান, তা হলো এটি বাতিল করে দিতে হবে। এটা একটা অবস্থান। কিন্তু আপনারা একটা জিনিস মনে রাখবেন- আর একটা বিষয় হতে পারে এই অধ্যাদেশটি যে অপপ্রয়োগ হওয়ার শঙ্কা আছে, সেগুলোকে অ্যাড্রেস করা যায় কিনা। সেটাও আপনারা একটু মাথায় রাখবেন।
আরো পড়ুন : শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিল ট্রাইব্যুনাল
তিনি বলেন, এটার যে একটা ত্রুটি আছে, সেটা সম্পর্কে কিন্তু আমরা সম্পূর্ণ সচেতন। আমি তো আর কিছু বলতে পারি না, আমি আপনাদের বাতিল করার দাবি উপদেষ্টা পরিষদে জানাবো।
ফাওজুল কবির কর্মচারীদের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আপনারা ভেবে দেখবেন, এই অধ্যাদেশটি রেখে কী কী সেফ গার্ডস ইন্ট্রোডিউস করলে এটা গ্রহণযোগ্য হবে।
অফিসে কাজের পরিবেশটা যাতে বজায় থাকে সে বিষয়ে কর্মচারীদের নজর দেওয়ারও অনুরোধ জানান রেলপথ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। এ সময় কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম, কো-মহাসচিব মো. নজরুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতা এবং কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে ফের সচিবালয়ে বিক্ষোভসরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে ফের সচিবালয়ে বিক্ষোভ
এর আগে, বেলা ১১টার দিকে সচিবালয়ের ছয় নম্বর ভবনের সামনে বাদামতলায় কর্মচারীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন।
সচিবালয় কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম এসময় বলেন, বিক্ষোভ মিছিল শেষে চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ও সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে।
এরও আগে, গত বৃহস্পতিবার রবি ও সোমবার পাঁচজন উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনরত কর্মচারীরা।