ভারতে হুগলী নদীর নিচ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা থেকে মেট্রোর রেক ছুটলো। তা পৌঁছালো হুগলি নদীর পশ্চিম পাড়ের শহর হাওড়ায়।

বুধবার (১২ এপ্রিল ) সকাল ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম মেট্রোর রেকটি গঙ্গার নিচ দিয়ে হাওড়া ময়দান স্টেশনে পৌঁছায়। কলকাতার ধর্মতলা মেট্রো স্টেশন থেকে চার দশমিক আট কিলোমিটার দূরত্বে হাওড়া ময়দান স্টেশনে ‘এমআর-৬১২’ রেকটি পৌঁছে।

মেট্রোরেলের জেনারেল ম্যানেজার পি উদয় কুমার রেড্ডি, অ্যাডিশনাল জেনারেল ম্যানেজার এইচএন জয়সওয়াল এই রেকে চড়ে হাওড়া ময়দান মেট্রো স্টেশনে এসে নামেন। তার সঙ্গে ছিলেন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা কলকাতা মেট্রো রেল করপোরেশন লিমিটেডের কর্মকর্তারা-সহ রেলের শীর্ষ কর্মকর্তারাও।

কিছু সময় পরেই ধর্মতলা থেকে দ্বিতীয় আরো একটি রেক ‘এমআর-৬১৩’ চলে আসে হাওড়া ময়দান স্টেশন পর্যন্ত। আগামী সাত মাস এসপ্ল্যানেড থেকে হাওড়া ময়দান স্টেশন পর্যন্ত মেট্রো টায়াল রান চলবে।

নদীর নিচ দিয়ে মেট্রো চলাচলের যে সুরঙ্গ তৈরি হয়েছে, সেই লাইন দিয়েই এই প্রথম মেট্রো ট্রেনের চাকা গড়ালো। এসপ্লানেড থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত মেট্রোর ট্রায়াল রানের জন্য হাওড়া ময়দানেই এই ট্রেন দুটি রাখা হবে। ট্রায়ালের প্রথম দিন মেট্রোর গতি অত্যন্ত কম ছিল।

যদিও ঠিক কবে থেকে নদীর নিচ দিয়ে মেট্রোরেল স্থায়ীভাবে চলবে তা নিয়ে এখনো নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে এই পথ চালু হলে হাওড়া থেকে খুব সহজেই কলকাতায় পৌঁছাতে পারবেন যাত্রীরা। সেক্ষেত্রে ভারতে এই প্রথম নদীর নিচ দিয়ে মেট্রোরেল চলাচল করল। এর আগে দেশটির কোন রাজ্যে নদীপথে মেট্রো যায়নি।

বাণিজ্যিকভাবে এই পরিষেবা শুরু হলে হুগলি নদীর তলদেশে ৫২০ মিটার সুরঙ্গ পার হতে মেট্রোর সময় লাগবে ৪৫ সেকেন্ড। নদী পার হয়ে ট্রেন পৌঁছাবে হাওড়া ময়দান স্টেশনে। দেশের সবচেয়ে গভীরতম এই মেট্রো স্টেশনটির অবস্থান মাটি থেকে প্রায় ৩৩ মিটার নিচে। অন্যদিকে পানির স্তর থেকে টানেলের দূরত্ব ৩২ মিটার।

১৯৮৪ সালে ভারতের মধ্যে সর্বপ্রথম মেট্রোরেল চলেছিল এই কলকাতা শহরে। এবার দেশের মধ্যে প্রথম পানির নিচ দিয়ে মেট্রো ছুটতে চলেছে সেই কলকাতাতেই।