গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য জাতিসংঘকে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২৪, ১০:০২ এএম

ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে দেয়া তাদের খসড়া প্রস্তাবের ভাষা সংশোধন করে ‘ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় অবিলম্বে ৬ সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি’ করার তাগিদ দিয়েছে।
খসড়ার টেক্সট দেখে মঙ্গলবার একথা জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। যুক্তরাষ্ট্র দুই সপ্তাহ আগে প্রথম গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে এই খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল। তখন এই প্রস্তাবে গাজায় হামাস-ইসরায়েল লড়াইয়ে সাময়িক বিরতির কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার প্রস্তাবটির তৃতীয় সংশোধনীতে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের কড়া ভাষার কথারই প্রতিফলন দেখা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্র গাজায় হামাসের হাতে বন্দি ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির শর্তে একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের যে কোনোরকম সমর্থন চাইছে।
গতবছরের অক্টোবরে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ঢুকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস হামলা চালিয়ে ১২০০ জনকে হত্যা করাসহ ইসরায়েলদেরকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়। এই জিম্মির সংখ্যা ইসরায়েলের হিসাবমতে, ২৫৩ জন।
যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই গাজায় লড়াই বন্ধের ক্ষেত্রে ‘যুদ্ধবিরতি’ শব্দটি এড়িয়ে এসেছে। নিরাপত্তা পরিষদে আনা তিনটি খসড়া প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র ভেটোও দিয়েছে। এর মধ্যে দুটি প্রস্তাবনায় গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়েছিল।
সর্বশেষ প্রস্তাবে ভেটো দেয়ার পেছনে যুক্তি দিয়ে ওয়াশিংটন বলেছে, এ প্রস্তাব পাস হলে লড়াই বন্ধ করা এবং জিম্মি মুক্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় চলমান আলোচনা ভেস্তে যেতে পারে।
জাতিসংঘে বরাবরই ইসরায়েলকে সুরক্ষা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে গতবছর অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর দুটি প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটিতে যুক্তরাষ্ট্র ভোটদানে বিরত ছিল। ফলে নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ ত্বরান্বিত করার প্রস্তাব পাস হয়েছিল। প্রস্তাবে লড়াইয়ে বিরতি দীর্ঘায়িত করারও আহ্বান ছিল। আর এখন যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তাদের উত্থাপিত খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য সময় দেয়া হবে এবং ভোটাভুটির জন্য কোনো তাড়াহুড়া করা হবে না।
আরো পড়ুন: হামাসকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন কমলা হ্যারিস
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে খসড়া প্রস্তাব পাস হতে হলে এর ১৫ সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে অন্তত ৯টি দেশের সমর্থন লাগবে এবং ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রকে ভেটো দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।