আবু সাঈদ হত্যা
সাবেক বেরোবি ভিসিসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৫, ০২:০৩ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
সোমবার (৩০ জুন) মামলার শুনানি শেষে সাবেক উপাচার্য ড. হাসিবুর রশীদ বাচ্চু, সাবেক প্রক্টর শরীফুল ইসলামসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
সোমবার সকালে, “জুলাই অভ্যুত্থানে প্রথম শহীদ” হিসেবে পরিচিত আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে দায়েরকৃত মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র ট্রাইব্যুনালে দাখিল করে প্রসিকিউশন। অভিযোগপত্রে মোট ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে রয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান প্রশাসনের সদস্য, পুলিশ সদস্য এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
প্রসিকিউশনের তদন্তে উঠে এসেছে, আবু সাঈদ হত্যার সঙ্গে তৎকালীন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারসহ ৩০ জনের সম্পৃক্ততা মিলেছে।
এর আগে, ১৩ জানুয়ারি এ মামলায় শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনকে আসামি করে অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে দায়ের করেন শহীদ আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী।
আসামিদের মধ্যে ইতোমধ্যে চারজন কারাগারে রয়েছেন। তারা হলেন, পুলিশ কর্মকর্তা আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র, বেরোবির সাবেক প্রক্টর ড. শরীফুল ইসলাম এবং বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান চৌধুরী।
বাকি ২৬ আসামির বিরুদ্ধে সোমবারই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
আরো পড়ুন : আবু সাঈদ হত্যা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল
আবু সাঈদের পরিবার ও আইনজীবীরা দীর্ঘদিন ধরে এই হত্যার বিচার দাবি করে আসছিলেন। তারা গত ১৩ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জমা দেন। পরে আন্তর্জাতিক অপরাধ তদন্ত সংস্থা পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষে ৩০ জনের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ সংগ্রহ করে প্রসিকিউশনের হাতে তুলে দেয়।
আবু সাঈদ ছিলেন বেরোবি’র সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান জুলাই আন্দোলনের শুরুতে রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ। পুলিশের সামনে বুক পেতে দেওয়া আবু সাঈদকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। এই ঘটনাটি দেশে-বিদেশে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি করে।