ইনু-হানিফসহ ৪ আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ আজ
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১০:২৬ এএম
ছবি : সংগৃহীত
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফসহ চার নেতার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আদেশ আজ (রোববার) দেওয়া হবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই আদেশ দেবেন। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
গত ২৮ অক্টোবর ইনুর আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী আটটি অভিযোগের কিছু অংশ পড়ে শোনানোর পর বলেন, এগুলোর কোনোটি সত্য নয় এবং অব্যাহতির আবেদন করেন। তবে প্রসিকিউশন যুক্তি দেয়, ১৪-দলীয় জোটের শরিক নেতা হিসেবে ইনু দায় এড়াতে পারেন না। শেখ হাসিনার সঙ্গে আন্দোলন দমনে কথোপকথনের মাধ্যমেই তার “কমান্ড রেসপনসিবিলিটি” প্রমাণিত হয়েছে বলে দাবি প্রসিকিউশনের।
এর আগে, ২৫ সেপ্টেম্বর ইনুর বিরুদ্ধে গণহত্যায় সহযোগিতাসহ আটটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনে ফরমাল চার্জ দাখিল করে প্রসিকিউশন। শুনানি শেষে অভিযোগ আমলে নিয়ে আদালত প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করেন।
গত বছরের ২৬ আগস্ট রাজধানীর উত্তরা থেকে হাসানুল হক ইনুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন মামলায় কারাগারে আছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি, তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নিজ আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন।
এদিকে একই মামলায় হানিফসহ কুষ্টিয়ার চার আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধেও অভিযোগ গঠনের আদেশ আজই দেওয়ার কথা রয়েছে। তারা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী এবং শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা।
গত ২৭ অক্টোবর প্রসিকিউশন পক্ষ শুনানি শেষ করে এই চারজনের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আবেদন জানায়। হানিফসহ আসামিরা পলাতক থাকায় ট্রাইব্যুনাল তাদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিয়োগ দেয়।
প্রসিকিউশন জানিয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট আন্দোলন দমনে কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত এসব নেতারা উসকানিমূলক বক্তব্য, ষড়যন্ত্র ও সহিংসতায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। তদন্ত সংস্থা তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর ট্রাইব্যুনাল মামলাটি আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করে।
