ইনফ্লুয়েঞ্জা: কারণ, লক্ষণ, রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৫, ১১:০৭ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
মৌসুমী ফ্লু (seasonal flu) যা ইনফ্লুয়েঞ্জা নামেও পরিচিত, একটি ভাইরাসজনিত রোগ। যা সাধারণত শীতকালে বেশি দেখা যায়। কিন্তু এখন এই মৌসুমেও এর প্রকোপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এটি ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস এ ও বি দ্বারা সৃষ্ট হয়। মৌসুমী ফ্লুর লক্ষণগুলোর মধ্যে- জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা, সর্দি, শরীর ব্যথা, ক্লান্তি, অবসাদসহ বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা যেতে পারে।
লক্ষ্য করার বিষয় হচ্ছে-ইনফ্লুয়েঞ্জা একটি ভাইরাল শ্বাসযন্ত্রের রোগ; যা খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। গুরুতর স্বাস্থ্য জটিলতা এবং কখনও কখনও মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। শীতকালে ইনফ্লুয়েঞ্জা আরও ব্যাপক হতে থাকে, কিন্তু এটি বছরের যেকোনো সময় সংক্রমিত হতে পারে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম যেমন শিশুদের ও বয়স্ক মানুষদের। যাদের বয়স ৬৫ এর বেশি সঙ্গে কো-মরবিডিটিতে ভুগছেন যেমন- ডায়াবেটিস বা কিডনি বা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে আক্রান্ত হলে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেশি। তাই অবশ্যই শুরুতেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
কিছু মানুষের মধ্যে গুরুতর স্বাস্থ্যগত সমস্যা হতে পারে। নিজেকে রক্ষা করার সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকা, যা ফ্লু শট নামেও পরিচিত। ফ্লু ভাইরাসের স্ট্রেন (strain) শরীরে প্রবেশ করানো হয় এবং শরীর সেই ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি করে। টিকা নেওয়া থাকলে যদি কেউ ফ্লু ভাইরাসের সংস্পর্শে আসে তখন ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকা যায়। যদি কেউ ভাইরাসের বিভিন্ন স্ট্রেনের সংস্পর্শে আসেন, তবে ভ্যাকসিন সাহায্য করবে এবং লক্ষণগুলো কম গুরুতর হবে।
শিশুদের দিকে বেশি নজর দিতে হবে। কারণ শিশুরা বেশি ঠান্ডা, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়ায় ভুগতে পারে। তাই টিকাদানের পাশাপাশি জীবাণুর বিস্তার রোধে স্বাস্থ্যবিধি মানার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। অনুশীলন এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিশুকে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান ও পানি দিয়ে ঘন ঘন হাত ধুতে উৎসাহিত করতে হবে। টিস্যু বা কনুই দিয়ে মুখ ও নাক ঢেকে তাদের কাশি এবং হাঁচির সঠিক শিষ্টাচার শেখাতে হবে।
এসময় আবার করোনা দরজায় কড়া নাড়ছে, বিশ্বের অন্যান্য দেশেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কোভিড নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে, তার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প কোনো পথ নেই। মৌসুমী ফ্লু থেকে বাঁচতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। এজন্য স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারলে এবং রাতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম হলে রোগব্যাধি হলেও সহজেই রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আমরা সুস্থ থাকতে পারব।