ফ্যাশনের নতুন ট্রেন্ড দাড়ি, সৌন্দর্য বাড়াতে যেভাবে যত্ন নেবেন

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:০৩ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
কয়েক বছর আগে ক্লিন শেভ ছিল অধিকাংশ পুরুষদের পছন্দের ফ্যাশন। ক্লিনশেভ মুখকেই তখন স্মার্টনেস হিসেবে ধরা হতো। সেই ধারণা বদলেছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এখন দাড়ি হয়ে উঠেছে ফ্যাশনের নতুন ট্রেন্ড। দাড়ি রাখার হাল ফ্যাশনে বাদ যাননি হলিউড-বলিউড অভিনেতা কিংবা ক্রিকেটার ও ফুটবলার। শাকিব খান, লিওনেল মেসি কিংবা বিরাট কোহলি-সবাই দাড়িকে নিজস্ব স্টাইল ও ব্যক্তিত্বের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করেছেন।
তাদের দেখাদেখি এখন একমুখ দাড়ি যেন ছেলেদের ফ্যাশনের নতুন ধারা। প্রশ্ন উঠতে পারে, দাড়ি নিয়ে হঠাৎ এত আলোচনা কেন? নেপথ্য কারণ হলো গত ৬ সেপ্টেম্বর ঘটা করে সারা বিশ্বে পালিত হয়েছে বিশ্ব দাড়ি দিবস। অদ্ভুত শোনালেও ২০১০ সাল থেকে শুরু হয়েছে দিনটি। প্রতি বছর সেপ্টেম্বরে প্রথম শনিবার বিশ্বব্যাপী পালন করা হয় দিবসটি।
দাড়ি রাখা এখন পৌরুষের নিদর্শন ভাবা হয়। বর্তমানে দাড়ির মাধ্যমে একজন পুরুষের ব্যক্তিত্ব ও রুচির পরিচয়ও পাওয়া যায়। পরিবেশ, দেশ, পেশা, ব্যক্তিত্ব, রুচিভেদে কাট-ছাঁটেও আছে ভিন্নতা। তবে স্টাবল কাট, ট্রিমড কাট, করপোরেট বিয়ার্ড বা লুম্বারজ্যাক বিয়ার্ড কাট বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু শুধু দাড়ি রাখলেই হয় না, এর সঠিক পরিচর্যারও প্রয়োজন। না হলে বিভিন্ন সমস্যাও দেখা দিতে পারে। আসুন জেনে নেয়া যাক কীভাবে দাড়ির যত্ন নেবেন—
নিয়মিত পরিষ্কার
দাড়ি নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। এর জন্য শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে ২-৩ বার শ্যাম্পু করুন আপনার দাড়িতে। শুধু তাই নয়, কন্ডিশনারও দিতে পারেন। এ ছাড়া প্রাকৃতিক উপাদানসমৃদ্ধ এবং স্যালিসাইলিক ও ল্যাকটিক অ্যাসিডযুক্ত ক্লিনজার দিয়ে দাড়ি পরিষ্কার করলে বেশ ভালো উপকার পাবেন।
ময়েশ্চারাইজ করুন
দাড়িতে তেল ব্যবহার করুন। এতে দাড়ি ময়েশ্চারাইজ হবে। বাজারে এখন অনেক ধরনের বিয়ার্ড অয়েল, ক্রিম কিনতে পাওয়া যায়। সেখান থেকে নিজের পছন্দমতো বিয়ার্ড অয়েল কিনে ব্যবহার করতে পারেন। আর তা না চাইলে, ঘরেই বানিয়ে ফেলতে পারেন বিয়ার্ড অয়েল। বিয়ার্ড অয়েল তৈরি করতে ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, ২ টেবিল চামচ নারিকেল তেল ২ টেবিল চামচ আমন্ড অয়েল নিয়ে একসঙ্গে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হবে দারুন সুগন্ধি বিয়ার্ড অয়েল। এই তেল ব্যবহারে আর্দ্রতা বাড়ানোর পাশাপাশি দাড়িতে পুষ্টি জোগাবে। ত্বকের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।
ঘরোয়া মাস্ক
দাড়ির সৌন্দর্য ধরে রাখতে ঘরে তৈরি মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। মাস্ক বানাতে চার টেবিল চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার বা লেবুর রসের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ নারিকেল তেল মিশিয়ে নিন। এই মাস্কটি ব্যবহারে দাড়ি স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও নরম হবে। এ ছাড়া ত্বকে জমে থাকা মৃত কোষ দূর করতে তাজা অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন।
নিয়মিত আঁচড়ানো
নিয়মিত দাড়ি আঁচড়ালে দাড়িতে জট পড়ে না। দাড়ির শেপ ঠিক রাখতে সাহায্য করে। দাড়ি আঁচড়ানোর জন্য ছোট চিরুনি ব্যবহার করাই ভালো।
উপকারিতা
দাড়ি রাখলে স্টাইলের সঙ্গে স্বাস্থ্যকর উপকারিতাও রয়েছে। দাড়ি রাখলে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে মুখের ভেতরে ঢুকতে বাধা দেয়। ফলে গলার কোনো রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। এ ছাড়া শরীরের তাপমাত্রা ধরে রাখতে দাড়ির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।