নতুন দুটি টিভি চ্যানেলের অনুমোদন
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০২:০২ পিএম
‘নেক্সট টিভি’ ও ‘লাইভ টিভি’ নামে নতুন দুটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ছবি : সংগৃহীত
জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কার প্রক্রিয়াতেই নতুন দুটি বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশনের (টিভি) লাইসেন্স দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। অনুমোদন পাওয়া চ্যানেল দুটি হলো ‘নেক্সট টিভি’ এবং ‘লাইভ টিভি’।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
‘নেক্সট টিভি’র লাইসেন্স পেয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক মো. আরিফুর রহমান তুহিন। তিনি ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় নাগরিক কমিটিতে যোগ দেন এবং পরে এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হন। এর আগে তিনি একটি ইংরেজি দৈনিকের স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন।
আরো পড়ুন : জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে সুখবর দিলো বিশ্বব্যাংক
অন্যদিকে, ‘লাইভ টিভি’র লাইসেন্স পেয়েছেন আরিফুর রহমান নামের আরেক ব্যক্তি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে প্রায় ছয় বছর আগে পড়াশোনা শেষ করেছেন। ছাত্রজীবনে একটি ইংরেজি দৈনিকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য ছিলেন, তবে এনসিপিতে যোগ দেননি।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নতুন টিভির অনুমোদন আগের প্রথা অনুযায়ী দেওয়া হয়েছে। সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের কাজ প্রক্রিয়াধীন।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে ২৮টি টেলিভিশন চ্যানেলের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। অধিকাংশ লাইসেন্সই পেয়েছেন সরকারঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও রাজনীতিকেরা। এসব চ্যানেলের নিরপেক্ষতা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রশ্ন রয়েছে।
বর্তমানে দেশে ৫০টি অনুমোদিত বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল রয়েছে। এর মধ্যে ৩৬টি সম্প্রচারে আছে এবং ১৪টি সম্প্রচারের অপেক্ষায়। এছাড়া ১৫টি আইপি টিভি অনুমোদন পেয়েছে। টেলিভিশন চ্যানেল প্রতিষ্ঠার আরো কিছু আবেদন তথ্য মন্ত্রণালয়ে বিবেচনাধীন রয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেসরকারি টেলিভিশনের অনুমোদন প্রক্রিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে দলীয় আনুগত্য, স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। অর্থনীতি ও বাজারের সক্ষমতার চেয়ে বেশি সংখ্যায় লাইসেন্স দেওয়ার কারণে একটি নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০১৪ সালের জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা অনুযায়ী, সম্প্রচার কমিশন গঠনের কথা থাকলেও আওয়ামী লীগ সরকার সেটি বাস্তবায়ন করেনি। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন পরবর্তীতে একটি গণমাধ্যম কমিশন গঠনের সুপারিশ করেছে এবং বেসরকারি টেলিভিশন লাইসেন্সের বিষয়টি সেই কমিশনের আওতায় আনার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে অন্তর্বর্তী সরকার এখনো সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করেনি।
