বাংলাদেশের ধ্বংসযজ্ঞ জানাতে ব্রিটিশ সরকারকে স্মারকলিপি

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২৪, ০৫:১৯ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
কোটা আন্দোলনকে পুঁজি করে স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত ইসলামী জঙ্গিগোষ্ঠী ও সরকার বিরোধী বিএনপির দেশব্যাপী ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে ব্রিটিশ সরকারকে স্মারকলিপি দিয়েছে যুক্তরাজ্য বঙ্গবন্ধু লেখক সাংবাদিক ফোরাম।
ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) লন্ডন সময় দুপুরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরাবর এই স্মারকলিপিটি পৌঁছে দেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনকে পুঁজি করে স্বাধীনতা বিরোধী জামাতে ইসলামী জঙ্গিগোষ্টী ও সরকার বিরোধী বিএনপি দেশব্যাপী যে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হত্যার মাধ্যমে দেশব্যাপী এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃস্টি করে।
কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে সংঘটিত সহিংসতা, নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় অচল হয়ে পড়ে সমগ্র দেশ। শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে দেশে জারি করা হয় কারফিউ। সাধারণ শিক্ষার্থীসহ ঘটে বেশ কিছু প্রাণহানির ঘটনাও।
আরো পড়ুন: গ্রেপ্তারকৃত ৩৬ এইচএসসি পরীক্ষার্থীর জামিনের শুনানি আজ
সংগঠনের ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অফিসে গেলে, ১০নং ডাউনিং স্ট্রিটের একজন কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
স্মারকলিপি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি সাংবাদিক আব্দুল কাদির চৌধুরী মুরাদ, সহসভাপতি বাতিরুল হক সরদার, সাধারণ সম্পাদক শাহ মোস্তাফিজুর রহমান বেলাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাছির, সদস্য আতিয়ার রসুল কিটন ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরকারের মত পার্থক্য না থাকলেও স্বাধীনতা বিরোধীরা শিক্ষার্থীদের মিছিলে প্রবেশ করে জেল ভেঙ্গে বেশ কয়েকজন জঙ্গিসহ কয়েক হাজার অপরাধীকে পালিয়ে যাবার সুযোগ করে দেয়। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম বাংলাদেশ টেলিভিশন, মেট্রোরেলসহ বেশ কয়েকটি সরকারি স্থাপনা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে।
এতে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়। যা একটি উন্নয়নশীল দেশের পক্ষে সহজে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়। সরকারও চাইছে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আসল অপরাধীদের চিহ্নিত করে বিচারের সম্মুখীন করতে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্টকারী স্বাধীনতা বিরোধীরা কোনোদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব এবং উন্নয়নে বিশ্বাসী নয়। এরা চাইছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিনষ্ট করতে। এই গোষ্ঠী যেমনটি করেছিল ২০১৩ এবং ২০১৮ সালে। এরা মিথ্যাচার ও অপপ্রচারে পারদর্শী। এই গোষ্ঠী ব্রিটেনসহ বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার চালিয়ে বিষয়টিকে অন্য খাতে প্রবাহিত করতে চাইছে।