মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট বন্ধে প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টার কাছে আবেদন

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:০৭ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে নতুন করে যাতে সিন্ডিকেট হতে না পারে সেজন্য প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের কাছে আবেদন করেছেন রিক্রুটিং এজেন্সী হোপ হিউম্যান রিসোর্স।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মো. রেজাউল করিম বলেছেন, মালয়েশিয়াতে কর্মী প্রেরণের মাইগ্রাম মেডিক্যাল চেক-আপ এবং কতিপয় এজেন্সি সিন্ডিকেট করে গলাকাটা ব্যবসা করেছে। রিক্রুটিং এজেন্সী মালিকদের সংগঠন বায়রা নিষ্ক্রিয় থাকায় তিনি এই আবেদন করেছেন বলে দাবি করেছেন।
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার ধ্বংসের জন্য চিহ্নিত সিন্ডিকেট দায়ী উল্লেখ করে আবেদনে বলা হয়েছে, ১০০টি রিক্রুটিং এজেন্সী শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। শ্রমিকরা সেখানে গিয়ে কাজ পাচ্ছে না। দেশের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। অথচ প্রতিযোগীতার বাজার থাকলে অনেক কম খরচে কর্মীরা যাওয়ার সুযোগ পায়। এই বাজার সবার জন্য উন্মুক্ত না থাকায় সিন্ডিকেট ইচ্ছেমতো কর্মী প্রতি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
আরো পড়ুন: বাজারে এলো ‘জেন-জি’ প্যাকেজ
তারা নতুন করে আবার সিন্ডিকেট গড়ার চেষ্টা করছে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এর সঙ্গে দেশী-বিদেশী চক্র জড়িত। তারা বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন আইনের তোয়াক্কা করছে না। ২০১৬-১৮ এবং ২০২২-২৪ সালে মালয়শিয়াতে কর্মী প্রেরণের জন্য অনলাইনে মাইগ্রাম মেডিক্যাল চেক-আপের মাধ্যমে এবং কতিপয় (১০ এজেন্সি, ২৫ এজেন্সি এবং সর্বশেষ ১০০ এজেন্সি) এজেন্সি সিন্ডিকেট করে প্রবাসীদের গলাকাটা ব্যবসা করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। যা বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোনো দেশ থেকে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে ঘটেনি।
অভিযোগ করা হয়েছে, অনলাইনে মাইগ্রাম মেডিক্যাল চেক-আপ করে কর্মীর পাসপোর্ট সিন্ডিকেট এজেন্সিতে চলে যায়। এভাবেই যে এজেন্সি কাজের ডিমান্ড আনলো সে এজেন্সি এবং কর্মী উভয়ই সিন্ডিকেট এজেন্সির কাছে জিম্মি হয়ে যায়। প্রতি কর্মীর জন্য এক লাখ ৫২ হাজার টাকা অতিরিক্ত দিলে তবেই সে সিন্ডিকেট এজেন্সি থেকে উক্ত পাসপোর্ট ফেরত পাবেন এবং সেই কর্মীকে কর্মস্থলে পাঠানো যাবে। এই পদ্ধতিতে কর্মী পাঠানো সরাসরি বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন আইনের লঙ্ঘন এবং দীর্ঘ সময় সাপেক্ষ। অতীতের ন্যায় যাতে আর সিন্ডিকেট না হয় সেজন্য দাবি জানানো হয়েছে।