মহানবী হয়রত মুহাম্মদ (সা.)-এর কন্যা হযরত ফাতিমা জাহরা (সা.আ.)-এর জন্মদিন ও নারী দিবস উপলক্ষ্যে শনিবার (২১ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আয়োজনে ছিল ঢাকায় ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং যাহরা এসোসিয়েশন। 

হযরত ফাতিমা জাহরা (সা.আ.) বিশ্বের নারীদের আদর্শ’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেজা মীরমোহাম্মদী।  এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. নুসরাত ফাতেমা এবং চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জন এবং লায়ন্স চক্ষু ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের সহকারি রেজিস্ট্রার ড. ইসরাত জাহান ইপা। আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন যাহরা এসোসিয়েশনের চেয়ারপারসন মিসেস সেলিনা পারভীন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, একজন পরিপূর্ণ মানুষের যতগুলো ভালো দিক ও গুণাবলী থাকা দরকার তার সবগুলোর অধিকারী ছিলেন হযরত ফাতিমা জাহরা (সা.আ.)। তিনি ছিলেন সমগ্র বিশ্বের নারী জাতির আদর্শ, বেহেশতের নারীদের নেত্রী, পবিত্র কোরআন এবং অসংখ্য হাদীস কর্তৃক ঘোষিত নিষ্পাপ নারী। হযরত ফাতিমা জাহরা (সা.আ.) সম্পর্কে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) বলেন, হযরত ফাতিমাকে কষ্ট দিলে আল্লাহ অসন্তুস্ট হয় আর হযরত ফাতেমাকে ভালোবাসলে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন। আমরা যদি হযরত ফাতিমার জীবনীর দিকে তাকাই, তাহলে দেখতে পাব যে, তার জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে রয়েছে আমাদের জন্য পরম শিক্ষা এবং সেটি সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা, সংস্কৃতি, ইহলৌকিক, পারলৌকিক, আধ্যাত্মিক, ধৈর্য সংযমসহ সসব ক্ষেত্রে। 

বক্তারা আরো বলেন, হযরত ফাতেমা (সা.আ.) হচ্ছেন- গোটা ইতিহাসে এবং অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎকাল নির্বিশেষে সব সময়ের জন্য নারীকুলের অনুসরণীয় আদর্শ। মানুষের ঐশী ও পবিত্র দিকটি তার মধ্যে পরিপূর্ণরূপে ফুটে উঠেছে। তিনি ছিলেন বহুমাত্রিক ব্যক্তিত্বের অধিকারী একজন মানুষ। ইসলামের পথে একজন সাহসী সংগ্রামী একজন জ্ঞানী নারী।  একই সময় তিনি একদিকে একজন গৃহিণীর ভূমিকা পালন করেছেন, অন্যদিকে একজন মমতাময়ী স্ত্রী ও মাতা এবং পূর্ণতার অধিকারিণী ছিলেন। ইরানের ইসলামী বিপ্লবের রুপকার ইমাম খোমেইনী (রহ্.) হযরত ফাতেমা (সা.আ.)এর জন্মদিনকে নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছেন, যাতে বিশ্বের নারীরা হযরত ফাতেমা (সা.আ.) সম্পর্কে আরো বেশি বেশি জানতে পারা যায় এবং তার আদর্শ ধারন করা যায়।