রংপুরের ৩৩টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলো জামায়াত

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫১ পিএম
-6867ea65e8bbe.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য রংপুরের ৩৩টি আসনে নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। শুক্রবার (৪ জুলাই) রংপুর জিলা স্কুল মাঠে এক জনসভা থেকে এই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দলটি।
রংপুর বিভাগের রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলার সব আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, মৌলিক সংস্কার ছাড়া ভালো নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই দেশে মব কালচার চলছে। কিন্তু এসব সহিংসতায় জামায়াতের কোনো কর্মী জড়িত নয়। ১৯৭২ সাল থেকেই এই পরিস্থিতি চলছে। জামায়াত সবসময় মব রাজনীতির বিরুদ্ধে।
লালমনিরহাটের পাটগ্রামের সাম্প্রতিক সহিংসতার প্রসঙ্গ টেনে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। এজন্য আগে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে, আর সেই পরিবেশ তৈরির জন্যই আমরা মৌলিক সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।
যারা সহিংসতায় জড়িত তাদের নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রথমে রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত নিজেদের কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে আনা, এরপর রাষ্ট্রের দায়িত্ব পরিস্থিতি মোকাবেলা করা।
‘আল্লাহর আইন চাই, সৎ লোকের শাসন চাই’-এই স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে সমাবেশ স্থল। দলটির ডাকে সাড়া দিয়ে রংপুরসহ আশপাশের জেলাগুলো থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা সরব উপস্থিতিত হয়।
সমাবেশে অংশ নিতে সকাল থেকেই রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে শত-শত কর্মী-সমর্থক রিকশা, অটোরিকশা, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানে করে শহরে জড়ো হন। জনসভা ঘিরে শহরজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। স্থানীয় নেতাদের মতে, রংপুর অঞ্চলের ৩৩টি আসনে জামায়াতের শক্ত অবস্থান গড়ে তুলতেই এ আয়োজন।
‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সব খুনির বিচার’, ‘প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচন’সহ চার দফা দাবিতে রংপুর মহানগর ও জেলা শাখার উদ্যোগে এই জনসভার আয়োজন করা হয়।
জামায়াত নেতারা বলছেন, এই জনসভার মাধ্যমে তারা ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর চেতনায় জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে চান এবং একটি নতুন, জনগণের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়তে বৃহত্তর আন্দোলনের সূচনা করাই তাদের লক্ষ্য। মহাসমাবেশে ৩৩ প্রার্থীকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়।