×

রাজনীতি

বিএনপি-জামায়াত বাগযুদ্ধ

আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনের অভিযোগে পরস্পরকে ঘায়েলের চেষ্টা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:১৮ পিএম

আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনের অভিযোগে পরস্পরকে ঘায়েলের চেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাঠে থাকা শক্তিশালী দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে আগে থেকেই টানাপোড়েন চলে আসছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে সরকার ঘোষিত নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে দল দুটির মধ্যে কোনো আপত্তি না থাকলেও নানা ইস্যুতে চলছে কথার বাগাড়ম্বর। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া দল আওয়ামী লীগবিরোধী দীর্ঘ দিনের মিত্র বিএনপি ও জামায়াত শক্তিরও প্রদর্শন করে চলেছে।

জামায়াতকে উদ্দেশ করে বিএনপি বলছে, বাংলাদেশে দক্ষিণপন্থিদের উত্থান ঘটেছে। ধর্মীয় উগ্রবাদ ছড়ানো হচ্ছে। সব বিশ্ববিদ্যালয়সহ গোটা প্রশাসন জামায়াতের নিয়ন্ত্রণে। এছাড়া নির্বাচনের আগেই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, এর আলোকে পিআর পদ্ধতিতে ভোট এবং আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের বিপক্ষে তাদের অনড় অবস্থা বারবার স্পষ্ট করছে দলটি।

এসব ইস্যুতে কয়েকটি ধর্মভিত্তিক দল নিয়ে একাট্টা হয়ে জামায়াতের আন্দোলন রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি ও নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে; ডাকসু-জাকসু নির্বাচনের মতো জাতীয় নির্বাচনে ভোট কারচুপির প্রক্রিয়ায় হাঁটছে বলেও অভিযোগ করেছে বিএনপি। এমনকি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে বলেও জামায়াতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। প্রচলিত পদ্ধতিতে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে সরকার গঠন করতে পারবে বলে আশাবাদী বিএনপি। 

অপরদিকে জামায়াতের অভিযোগ- সারাদেশে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, মব সন্ত্রাস করছে বিএনপি। পিআর পদ্ধতি ছাড়া ভোটে জিতে আগের রাজনৈতিক ধারায় ফিরে যেতে চায় তারা। কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থানের অর্জন বিফলে যেতে দেয়া যাবে না। জামায়াত-এনসিপি বলছে, পিআর পদ্ধতির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত না হলে তাদের পক্ষে নির্বাচনে যাওয়া সম্ভব নয়। গণভোট প্রশ্নেও ভিন্নমত স্পষ্ট দুই দলে। 

ভারতের ওপি জিন্দাল ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক ও দীর্ঘদিনের বাংলাদেশ গবেষক শ্রীরাধা দত্তের বরাতে সম্প্রতি বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘জামায়াতের নায়েবে আমির মোহাম্মদ তাহের বলেছেন ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে জামায়াতের নতুন নেতৃত্ব আগ্রহী।’ এই বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগ ও ভারতবিরোধী বক্তব্য জোরালো হয়ে ওঠে। 

জামায়াতে ইসলামীর একাত্তরের স্বাধীনতাযুদ্ধবিরোধী ভূমিকা তাদের বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোণঠাসা করে রেখেছিল। জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ইসলামী দলগুলো আবার হাঁটি হাঁটি পা পা করে বিএনপির আনুকূল্যে রাজনীতি করা শুরু করে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও জামায়াতকে জোটবদ্ধ করে দলটির নেতাদের মন্ত্রী হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। তখন ভাষ্য ছিল, ‘বিএনপির আনুক‚ল্য নিয়েই ইসলামি দলগুলোকে চলতে হবে।’

ইসলামপন্থি দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় দল জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতে ইসলামী দীর্ঘদিন বিএনপির আনুক‚ল্যে রাজনীতি করেছে। বিশেষত শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্বের আমলে তারা নানাভাবে এত বেশি কোণঠাসা ছিল- নিজেদের স্বাধীন সত্তা খুব কমই প্রকাশ করতে পেরেছে। জামায়াতকে জোটে আশ্রয় দেয়ার জন্য বিএনপিকেও রাজনৈতিক মূল্য দিতে হয়েছিল। তবে হাসিনার আমলে জামায়াতকেও বিএনপির দরকার ছিল। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী দীর্ঘদিন জোটবদ্ধ হয়ে রাজনীতি করে এলেও জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর থেকে দুই দল বিভক্ত হয়ে পড়েছে।

নির্বাচন নিয়ে জামায়াতে ইসলামী শঙ্কিত। তাদের শঙ্কার কারণ কী? তারা ভয় পাচ্ছে- এই মুহূর্তে নির্বাচন হলে বিএনপি সর্বাধিক আসন লাভ করবে। তখন তাদের অভ্যুত্থানের অর্জনগুলো প্রশ্নের মধ্যে পড়বে, অথবা হারিয়ে যাবে। একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, অভ্যুত্থানে জামায়াতের অর্জন সবচেয়ে বেশি। তারা অন্তত ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। জামায়াত সমর্থকরাই এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মনোনীত হয়েছেন। কেবিনেট সেক্রেটারি থেকে শুরু করে প্রশাসনের শীর্ষ পদগুলো তাদের সমর্থকরা দখল করে আছেন। মাঠ প্রশাসনেও একই অবস্থা। ব্যবসা-বাণিজ্যেও তাদের একধরনের নিয়ন্ত্রণ। বিএনপি ক্ষমতায় এলে সবকিছু ওলটপালট হয়ে যাবে- এমন মনে করছেন জামায়াতের নেতারা।  

ইসলামি দলগুলোর মধ্যে বিবাদ আছে, এই বিভক্তি নিয়েও তারা সবাই মোটামুটি একমত- বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন তাদের সর্বশ্রেষ্ঠ সময়। ডাকসু-জাকসুর নির্বাচনী ফলাফলকে পর্যবেক্ষকরা বলছেন জামায়াতের উত্থান। এই জামায়াতে ইসলামী এখন একাট্টা হয়েছে চরমোনাই আমিরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, নেজামে ইসলাম, খেলাফত মজলিশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসহ অন্তত ৭টি দলের সঙ্গে।       

২৬ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন ফেব্রুয়ারিতেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা। তার এই ভাষণকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সফরে থাকা জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে- আমরাও একমত। তবে তার আগে জুলাই চার্টার বাস্তবায়ন করতে হবে। ভাষণের প্রশংসা করে তিনি বলেন, সাধারণ অধিবেশনে দেয়া প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য গোল্ড মেডেল পাওয়ার মতো। রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আসায় আমরা স্বাগত জানাই।

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ ‘যথেষ্ট শক্তিশালী’। বিএনপি নিশ্চিত, আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা খুব খুশি- ইতিহাসে প্রথমবার প্রধান উপদেষ্টা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে সরকারের কাজে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তাদের জাতিসংঘে সঙ্গে নিয়েছেন। তার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল, জাতির ঐক্য প্রদর্শন।

জামায়াতে ইসলামী আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) ইস্যুতে আন্দোলন চালাচ্ছে- এ প্রসঙ্গে বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছি, বিএনপি নিম্নকক্ষে পিআরের পক্ষে নয়। এমনকি উচ্চকক্ষেও এর পক্ষে আমরা কথা বলিনি। এ ধরনের বিষয়গুলো পরবর্তী সময়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে। নিউইয়র্কের পত্রিকা ঠিকানাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে আগেও বলেছি, আমাদের চেয়ারম্যান এবং অ্যাক্টিং চেয়ারম্যানও বলেছেন- আমরা কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে নই। কিন্তু যদি সেই রাজনৈতিক দল কোনো গণহত্যার সঙ্গে জড়িত হয়, দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙে দেয়ার জন্য দায়ী হয় তাহলে নিশ্চয়ই তাদের শাস্তি পেতে হবে।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে জামায়াতে ইসলামীর অতীত তুলে ধরে তীব্র সমালোচনা করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, এখন আবার তারা স্বরূপে বেরিয়েছেন এবং আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন চাচ্ছেন, ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক চাচ্ছেন। কিন্তু এটাও আমাদের মনে রাখতে হবে, ওই দেশটি শেখ হাসিনার মতো রক্তপিপাসু দানবকে প্রশ্রয় দিয়েছে নিজ দেশের মানুষকে হত্যা করার জন্য।

রিজভী বলেন, আমাদের দেশে ইসলামপন্থি একটি রাজনৈতিক দল বরাবরই আমার মনে হয়েছে আওয়ামী লীগকে সন্তুষ্ট করার জন্য কাজ করছে। তারা এ দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে শহীদ জিয়াউর রহমানের কাছ থেকে। তারা নিষিদ্ধ দল ছিল। শহীদ জিয়া তাদেরকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছেন। কিন্তু তাদের এমন কোনো মিটিং নাই, এমন কোনো কর্মসূচি নাই- তারা স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে তীব্র ভাষায় সমালোচনা করেন নাই। এরপর আমরা দেখেছি, প্রতিটি ঘটনায় তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে, আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করেছেন।

নিজের বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে এইচ এম এরশাদের সময়ে ১৯৮৬ সালের নির্বাচনের কথা মনে করিয়ে দেন রিজভী। বিএনপি ওই নির্বাচন বর্জন করলেও আওয়ামী লীগ ও জামায়াত তাতে অংশ নিয়েছিল। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি নিয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির মো. তাহেরের বক্তব্যের সমালোচনাও করেন রিজভী। গতকাল রমনা কালীমন্দিরে এক অনুষ্ঠানে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য একটি ইসলামী দল ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। জামায়াতে ইসলামী কোনো স্বাধীন রাজনৈতিক দল নয়। তারা অন্য কোনো দেশের দলের শাখা হিসেবে কাজ করে। 

২৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, পিআর চাওয়ার একটি উদ্দেশ্য হলো বেশি সিট পাওয়া। আরেকটি হচ্ছে দেশে অনৈক্য ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা, যাতে মেজোরিটি পার্টি ক্ষমতায় না আসতে পারে। এ সময় যারা কম জনপ্রিয় তাদের জন্য পিআর লাভজনক। কোনো রাজনৈতিক দলের অসাংবিধানিক, অরাজনৈতিক, অবৈধ কোনো আবদার মেনে জাতিকে বিপদে ফেলা যাবে না। তিনি বলেন, কোন পদ্ধতিতে ভোট হবে তা সংবিধানে স্পষ্টভাবে বলা আছে। সংবিধানে প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের কথা বলা রয়েছে। তা জানতে জামায়াতকে সংবিধানে খুলে দেখতে হবে।

এর আগে ১৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু মন্তব্য করেছেন, জামায়াতে ইসলামী আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করছে। যারা ১৫ বছর ধরে বিএনপিকে শোষণ ও নির্যাতন করেছে, তারা এখন আওয়ামী লীগের সঙ্গে একাকার হয়ে গেছে।

অবশ্য এর আগে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের অভিযোগ তুলেছিলেন জামায়াতের আমীর ড. শফিকুর রহমান। গত ১৩ মার্চ এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে, তা জনগণ মেনে নেবে না। এ ব্যাপারে সর্বস্তরের জনগণকে সংযত, সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থেকে দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান। অবশ্য সাম্প্রতিক আওয়ামী লীগকে জড়িয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে তেমন কোনো বক্তব্য দিচ্ছে না জামায়াতের শীর্ষ নেতারা।

তবে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ গত ২৫ সেপ্টেম্বর এক বিক্ষোভ সমাবেশে বলেন, কোনো একটি রাজনৈতিক দল (বিএনপি) আওয়ামী লীগকে রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিলেও জনগণ তা রুখে দেবে। কোনো অবস্থাতেই জনগণ আওয়ামী লীগকে নৈরাজ্য সৃষ্টির সুযোগ দেবে না। 

গত ২৩ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, দেশের কোনো কোনো রাজনীতিবিদ আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আনার ষড়যন্ত্র করছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আনার বা রাজনীতিতে পুনর্বাসন করার কোনো সুযোগ নেই। যারা এটা করার চেষ্টা করবে, জনগণ তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে। তাদের রাজনীতি বাংলাদেশ থেকে নাই হয়ে যাবে। আওয়ামী পুনর্বাসন করার রাজনীতি যদি বিএনপি গ্রহণ করে থাকে, তাহলে সেই রাজনীতি বিএনপির জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে। 

অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের অভিযোগ করেছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও। গত ৯ মে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, মানুষের মনে প্রশ্ন তৈরি করছে- অন্তর্বর্তী সরকার স্বৈরাচার আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণের অভিযোগও উঠেছে। পাশাপাশি নানা ইস্যু সৃষ্টি করে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যের মধ্যে ফাটল ধরানোর একটা ক্ষেত্র হয়তো তৈরি করতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। 

টাইমলাইন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার

আরো পড়ুন

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

ভারত কেন শিরোপা নেয়নি? মোদী, নকভী, সুরিয়া ও সালমান যা বললেন

ভারত কেন শিরোপা নেয়নি? মোদী, নকভী, সুরিয়া ও সালমান যা বললেন

শান্তি চাই পাহাড়ি জনপদে

শান্তি চাই পাহাড়ি জনপদে

স্বাধীনতার স্বপ্ন ও পরিবারতন্ত্রের অভিশাপ

স্বাধীনতার স্বপ্ন ও পরিবারতন্ত্রের অভিশাপ

আওয়ামী লীগের সাবেক দুই এমপিসহ ১৩ নেতা-কর্মী গ্রেফতার

আওয়ামী লীগের সাবেক দুই এমপিসহ ১৩ নেতা-কর্মী গ্রেফতার

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App