তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, খুলে দেওয়া হলো সব জলকপাট

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৫০ পিএম

আবারও তিস্তার পানি বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। ছবি : সংগৃহীত
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টির কারণে আবারও তিস্তার পানি বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টার দিকে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির স্তর রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ১৮ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপরে। এ পরিস্থিতিতে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচে ছিল। তবে দুপুর থেকে পানির প্রবাহ দ্রুত বাড়তে থাকে। রাত ৯টার দিকে তা বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচে পৌঁছায় এবং সোমবার সকালে বিপৎসীমা অতিক্রম করে।
হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নীলফামারীর ডিমলা ও লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের দাবি, নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের কিছু স্থানে ইতোমধ্যেই পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। চরাঞ্চল ও নিম্নভূমি প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এতে ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নদীপাড়ের বাসিন্দারা গবাদিপশু ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
আরো পড়ুন : সীমানা পূর্ণবহালের দাবিতে পাবনায় সকাল সন্ধ্যা হরতাল
ডিমলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, তিস্তায় পানি ক্রমেই বাড়ছে। এখনো ঘরবাড়ি ডুবেনি, তবে মানুষ আতঙ্কে রয়েছে।
পাউবোর ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী জানান, উজানে ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তার পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকাল ৬টা থেকে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যারাজের সব জলকপাট খোলা রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (বাপাউবো) জানিয়েছে, আগামী তিন দিন (১৪–১৭ সেপ্টেম্বর) রংপুর বিভাগের প্রধান নদী তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমারের পানি আরো বাড়তে পারে। এর মধ্যে তিস্তা ও দুধকুমারের পানি বিপৎসীমা অতিক্রমের আশঙ্কা রয়েছে। ফলে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। এজন্য নদীপাড়ের মানুষকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।