সুপার ওভারে রোমাঞ্চকর জয় নামিবিয়ার

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৪, ১০:৪১ এএম

সুপার ওভারে নামিবিয়াকে রোমাঞ্চকর জয় এনে দিয়েছেন ডেভিড ভিসা। ছবি সংগৃহীত
টার্গেট ছিল ১১০ রান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটা মামুলি লক্ষ্য। তবে নামিবিয়ার জন্য সেটা কঠিন করে তোলেন ওমানের বোলাররা। তাদের তোপে ব্রিজটাউনে নির্ধারিত ওভারে খেলা টাই হয়। ফলে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানে নামিবিয়াকে রোমাঞ্চকর জয় এনে দিয়েছেন ডেভিড ভিসা।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় নামিবিয়া। দলীয় রানের খাতা খোলার আগেই প্রথম উইকেট হারায় তারা। বিলাল খানের অসাধারণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হন মাইকেল ভন লিঙ্গেন। পরে নিকোলাস ডেভিন এবং জ্যান ফ্রাইলিঙ্ক ৪২ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন। তবে তাদের রান তোলার গতি ছিল খুবই ধীর।
ওমানকে দ্বিতীয় ব্রেক থ্রু এনে দেন আকিব ইলিয়াস। তার বলে তুলে মারতে গিয়ে ৩১ বলে ২৪ করে নাদিমের হাতে ধরা পড়েন ডেভিন। এরপর জেরার্ড ইরাসমাস এবং ফ্রাইলিঙ্ক যোগ করেন ৩১ রান। তারাও মন্থর রান তোলে। ফলে আস্কিং রেট বেড়ে যায়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আক্রমণাত্মক হয় নামিবিয়া। তাতেই সাফল্য পায় ওমান। তেড়েফুঁড়ে খেলতে গিয়ে আয়ানের বলে ক্যাচ তুলে দেন ইরাসমাস।
সফল হতে পারেননি জেজে স্মিতও। ১২ বল খেলে তিনি করেন মাত্র ৮ রান। তাতে শেষ ১৮ বলে দরকার পড়ে ১৮ রান। ১৮তম ওভারে এসে অসাধারণ বোলিং করেন মেহরান খান। স্মিতের উইকেট তুলে নেন তিনি। ওই ওভারে কেবল ৪ রান দেন ডানহাতি পেসার।
পরের ওভারে বিলালের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জয়ের নাগালে নিয়ে যান ভিসা। কিন্তু সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়ান মেহরান। শেষ ৬ বলে ৫ রান প্রয়োজন ছিল। তবে প্রথম ৩ বলে কোনো রান দেননি এ পেসার। অধিকন্তু তুলে নেন ফ্রাইলিঙ্ক আর গ্রিনের উইকেট। তার দুর্দান্ত বোলিং ম্যাচে ফিরে ওমানকে।
শেষ বলে নামিবিয়ার জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২ রান। তবে ১ নিতে সক্ষম হন ভিসা। ফলে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানে ঝড়ো ব্যাটিং করেন ভিসা-ইরাসমাস। দুজনে তোলেন ২১ রান। পরে বোলিংয়ে দারুণ নৈপুণ্য প্রদর্শন করেন ভিসা। তার নিখুঁত লাইন-লেন্থে মাত্র ১০ রান সংগ্রহ করতে পারে ওমান। এতে ১১ রানের রোমাঞ্চকর জয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করে নামিবিয়া।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নামিবিয়ার বোলিং তোপে পড়ে ওমান। সূচনালগ্নেই রুবেন ট্রাম্পলম্যানের দারুণ এক ডেলিভারিতে পরাস্ত হন কাশ্যপ প্রজাপতি। সেই রেশ না কাটতেই তার অসাধারণ সুইং ইয়র্কারে আত্মসমর্পণ করেন অধিনায়ক আকিব ইলিয়াস। তিনিও এলবিডব্লিউ’র শিকার হন।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় ওমান। শেষ পর্যন্ত ১০৯ রানে অলআউট হয় তারা। এক প্রান্ত আগলে রেখে খালিদ কাইল করেন ৩৯ বলে ৩৪ রান। ৪ উইকেট শিকার করেন ট্রাম্পলম্যান। ভিসা নেন ৩ উইকেট।