মালিকের সব কথাই বুঝে কুকুর বিড়ালগুলো

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৫:৩০ পিএম
নাম ধরে ডাকলেই কোলে চলে আসে কুকুর বিড়াল। যেন গভীর এক ভালোবাসা বিরাজমান তাদের মাঝে।
কেউ ভালোবাসেন কুকুর আবার কেউবা বিড়াল। কুকুর বিড়ালকে দেখলেই তাড়া করে আর বিড়াল কুকুরকে দেখলে পালিয়ে বেড়ায়, কিন্তু এখানকার চিত্র যেন ভিন্ন। যেখানে একইসাথে রাত কাটায় তারা। খেলাধুলা ও খাবারও খায় একই সাথে।
আর এমনই চিত্র দেখা গেছে রাজধানীতে। কুকুর বিড়ালের মাঝে এমন সখ্যতা তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শিব প্রসাদ পাল। এলাকায় তিনি দাদা নামেই বেশ পরিচিত।
পেশাগত কাজের বাইরের পুরোটা সময়ই দেন প্রাণীদের জন্য। বাকহীন অবলা প্রাণীদের জন্যে তার মন কাঁদে। তাই রাস্তায় পরে থাকা কুকুর-বিড়ালদের দেন আশ্রয়, করেন চিকিৎসা।
কুকুর বিড়াল ও মালিকের এমন ভালোবাসার বন্ধন তৈরি করে উদাহারণ সৃষ্টি করেছেন রাজধানীর দারুসসালাম এলাকার এই ব্যবসায়ী। গাবতলী বি জি বি মার্কেটে দোকান চালিয়েই চালান সংসার, লালন পালন করেন এসব প্রাণীর।
পেশাগত কাজের বাইরে পুরো সময়ই ব্যয় করেন ওদের পেছনে। বাকহীন অবলা প্রাণীদের জন্য তার মন কাঁদে। তাই রাস্তায় পরে থাকা কুকুর-বিড়ালদের দেন আশ্রয়, অসুস্থ হলে করেন চিকিৎসা।
সাত আট বছর আগ থেকে তার কাছে থাকেন কুকুর আর বিড়াল। পরম শান্তি অনুভব করেন তাদের পাশে থেকে। এই পর্যন্ত তার কাছে ১৫ থেকে ২০টি বিড়াল ও ১০-১৫ টি কুকুর থাকে। তাদের নিয়মিত দেন তিন বেলা খাবার। অসুস্থ হলে করান চিকিৎসা।
খাবারের সময় বিড়াল ও কুকুরগুলো তার কাছে এসে দাঁড়িয়ে থাকে। বিড়ালদের সাগরের মাছ ও কুকুরদের দেন বেকারির খাবার। প্রতি মাসে তাদের পিছনে খরচ হয় ২০ হাজার টাকারও বেশি।
নিজের সন্তানদের মতোই ভালোবাসেন তাদের। কিন্তু তাদের ভ্যক্সিন না দেওয়াতে সংশয়ে আছে এলাকাবাসী।
শিব প্রাসাদের মতো প্রাণীর প্রতি দয়ালু হয়ে উঠবে সবাই এমনটাই প্রত্যাশা প্রাণীভক্তদের।