তোপের মুখে মমতা; পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ছাত্র-জনতা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৪, ১১:৩১ পিএম
মাত্র
কিছুদিন আগের কথা বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে ভারতের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এক মন্তব্যের জেরে
চরম ক্ষিপ্ত হন হাসিনা সরকার।
মমতা সেসময় শিক্ষার্থীদের পক্ষ নিয়ে কথা বলায় হাসিনা সরকারের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ প্রতিবাদ জানান। সে সময় শিক্ষার্থীদের
এক দফা দাবিতে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন হাসিনা সরকার।
আর
আজ সেই বাংলাদেশের আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির পদত্যাগের এক দফা দাবিতে
এবার মাঠে নেমেছেন নারী, পুরুষ, ছাত্র এবং জনসাধারণ। কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে
মাঠে নামা মানুষ এ দাবি তুলেছেন।
তারা গোটা রাজ্য ‘স্তব্ধ করার’ ডাক দিয়েছেন।
ভারতীয়
গণমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী, মমতার পদত্যাগ দাবিতে গতকাল দুপুরে বিজেপি দুই ঘণ্টা ‘রাস্তা রোখো’ বা অবরোধ কর্মসূচি
পালন করে। এতে অংশ নেন লাখো মানুষ। এ ছাড়া বিকাল
থেকে বিজেপির মহিলা মোর্চার
ব্যানারে মুখ্যমন্ত্রী মমতার বাড়ি পর্যন্ত মোমবাতি মিছিল করা হয়েছে।
অন্যদিকে
আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে সোশ্যালিস্ট ইউনিটি সেন্টার অব ইন্ডিয়া সকাল
থেকে ১২ ঘণ্টার বাংলা
বন্ধে স্তব্ধ থাকে পশ্চিমবঙ্গ। এর সঙ্গে কণ্ঠ
মিলিয়ে বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী আওয়াজ তোলেন, ‘দফা এক, দাবি এক, মমতার পদত্যাগ।
খবরে
বলা হয়, এমন আন্দোলন কখনো প্রত্যক্ষ করেননি মমতা ব্যানার্জি। তারপরও তিনি আগের দিন মন্তব্য করেন, ‘আমাদের বাংলায় ধর্মঘট হয় না। কারণ
আমাদের ধর্মঘট বন্ধ করা আছে। যে ধর্মঘটে অংশ
নেবে সে নিজেরটা নিজে
বুঝে নেবে। কিন্তু আমি সবাইকে আবেদন করব সব খোলা রাখতে।
আরজিকরে
তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায়
পুরো উত্তাল রাজ্য। জনতার প্রতিবাদ রাজ্য ছাড়িয়ে অন্য রাজ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ক্ষোভে ফুঁসছে কলকাতা শহর। আরজিকর কাণ্ডে মমতার পদত্যাগের দাবি করে কাতারবদ্ধ হয়েছে বিজেপি ছাড়াও বাম সংগঠনগুলো।
এদিকে,
১৩ আগস্ট কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে চিকিৎসক মৃত্যুর তদন্ত কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে সিবিআইয়ের হাতে স্থানান্তর করা হয়েছে। গত বুধবার সিবিআইয়ের
একটি দল হাসপাতাল পরিদর্শন
করার পর তদন্ত শুরু
করে। এ ঘটনায় পাঁচ
চিকিৎসককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে।
এদিকে,
ঘটনায় অভিযুক্তের ফাঁসির দাবিতে বাধ্য হয়ে শনিবার পথে নামেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এ সময় বাংলাদেশের
ঘটনা উত্থাপন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিজেপি কী ভাবছে। বাংলাদেশে
একটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে, এত ছাত্র মারা
গেল। বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলতে পারি না আমি, বলিও
না, এটা সে দেশের ব্যাপার,
সে দেশ দেখবে। কিন্তু আমরা শুধু ভদ্রতা করব আর আপনারা ভাববেন
আমরা দুর্বল হয়ে গেছি, এটা নয়।’