×

ভিডিও

দু দেশের উত্তেজনার মধ্যেই আবারও সীমান্তে মানুষ হত্যা

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৫ পিএম

৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর অনেকটা মাথা গরম হয়ে পড়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশকে উত্তেজিত করেই চলছে দেশটি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়নের অতিরঞ্জিত তথ্য ও ভুয়া খবর প্রকাশ করে জল ঘোলার চেষ্টায় লিপ্ত।

সম্প্রতি আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, ভাঙচুর ও জাতীয় পতাকা নিয়ে টানা হেঁচড়ার ঘটনাও ঘটে।

ভয়েস অব আমেরিকা বাংলার এক জরিপে দেখা গেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের চেয়ে বেশি নিরাপত্তায় আছে। তারপরও বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যতনকে কেন্দ্র করে একের পর এক ষড়যন্ত্র চালিয়েই যাচ্ছে ভারত। 

ভারতের এসব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. ইউনূস বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপে বসেন। এতেই অনেকটা ঘুম হারাম হয়ে পড়ে ভারতের। সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধে মুখে বুলি আওড়ানো দেশটি ক্ষোভ ঝাড়তে থাকে বাংলাদেশ সীমান্তে। 

ক্ষোভের আরও একটি বহিঃপ্রকাশ ঘটে ৬ ডিসেম্বর পঞ্চগড়ের ঘাঘড়া সীমান্তে। আনোয়ার হোসেন নামে ৪০ বছর বয়সী এক বাংলাদেশিকে ভারতের শিংপাড়ায় গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ।

তিনি তেঁতুলিয়ার দেবনগড়ের রফিকুল ইসলামের ছেলে। শুক্রবার ভোরে সদর উপজেলার হাড়িভাষা ইউনিয়নের ঘাগড়া সীমান্তের ভারতের অভ্যন্তরে এই ঘটনা ঘটায় বিএসএফ। এসময় ভারতের গুলির আওয়াজ শুনে ঘাগড়া  বিজিবি ক্যাম্পের টহল দল আট রাউন্ড ফাঁকা ফায়ার করেন।

বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আনোয়ার হোসেনসহ কয়েকজন বাংলাদেশি ভারতে গরু আনতে যান। শুক্রবার ভোরে গরু নিয়ে ফেরার পথে ভারতীয় সীমান্তের অভ্যন্তরে দেশটির ৯৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চানাকিয়া ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে এবং কয়েক রাউন্ড গুলি করেন।

মেইন পিলার ৭৫১/৮-৯ এস এর মাঝামাঝি ভারতের অভ্যন্তরে শিংপাড়া এলাকায় চোরাকারবারীকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে আনোয়ার হোসেন মারা যায়। পরে তার মরদেহ বাংলাদেশ সীমান্তে ঠেলে দেওয়া হয়। 

বর্তমানে তার মরদেহ দুই দেশের সীমান্তের মাঝামাঝি জায়গায় রয়েছে। লাশ বাংলাদেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে এবং পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানো হবে বলেও জানায় বিজিবি।

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে বিএসএফের হাতে নির্মমভাবে নিহত হয় নাগেশ্বরীর কিশোরী ফেলানী। যে মরদেহটি কাটাতারে ঝুলিয়ে রাখা হয়। যে ঘটনাটি নাড়া দিয়েছিল সবার মনে।

এদিকে সীমান্ত হত্যা বন্ধে ভারতকে বার বার বলা হলেও সেদিকে যেন কোনও ভ্রুক্ষেপই নেই দেশটির।

সীমান্তে আর কত ফেলানী কিংবা রফিকুলদের রক্ত ঝড়লে বন্ধ হবে বিএসএফের হত্যাযজ্ঞ? এমন প্রশ্নই এখন সবার মনে। 

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আগামী জাতীয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ হবে: ডিএমপি কমিশনার

আগামী জাতীয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ হবে: ডিএমপি কমিশনার

পটেটো চিপস খেয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনছেন না তো!

পটেটো চিপস খেয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনছেন না তো!

মেঘনায় উদ্ধার মরদেহটি সাংবাদিক বিভুরঞ্জনের, জানালেন স্বজনরা

মেঘনায় উদ্ধার মরদেহটি সাংবাদিক বিভুরঞ্জনের, জানালেন স্বজনরা

জুলাই সনদ পর্যালোচনা করে মতামত দিলো বিএনপি, এনসিপিসহ ২৩ দল

জুলাই সনদ পর্যালোচনা করে মতামত দিলো বিএনপি, এনসিপিসহ ২৩ দল

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App