বিতর্ক উড়িয়ে বক্স অফিসে বাজিমাত করলো ‘সিতারে জামিন পার’

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৫, ১১:৪৫ এএম

‘সিতারে জামিন পার’ এখন আমির খানের ক্যারিয়ারের আরেকটি মাইলফলক হয়ে দাঁড়িয়েছে।ছবি : সংগৃহীত
প্রকাশের আগেই ছিল তুমুল বিতর্ক। মুক্তির শুরুর দিনগুলোতে বক্স অফিসে প্রত্যাশার নিচে আয়। সব মিলিয়ে যেন ‘সিতারে জামিন পার’ নিয়ে ধোঁয়াশাই ছিল বেশি। তবে সব সংশয় পেছনে ফেলে চতুর্থ দিনেই শত কোটির ক্লাবে জায়গা করে নিলো আমির খান অভিনীত এই স্পোর্টস-ড্রামা ঘরানার ছবি।
গত ২১ জুন মুক্তি পাওয়া ‘সিতারে জামিন পার’ বাজেট ছিল ৮০ কোটি টাকা। প্রথম দিকে মন্থর গতিতে শুরু করলেও মাত্র চার দিনের মাথায় ছবিটি পেরিয়ে গেছে ১০০ কোটির গণ্ডি। ভারতের বক্স অফিসে এটি এখন পর্যন্ত আয় করেছে প্রায় ১১০ কোটি টাকা, যা আমির খানের ‘লাল সিং চাড্ডা’-র তুলনায় অনেক দ্রুত সাফল্য।
ছবিটি কেবল বাণিজ্যিকভাবেই নয়, সমালোচকদের কাছ থেকেও পেয়েছে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া।
বিশিষ্ট গীতিকার ও চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতার এক্স (সাবেক টুইটার)-এ লিখেছেন, কে বলে ভালো ছবির কদর নেই? ‘সিতারে জামিন পার’ এর সাফল্য প্রমাণ করে দিয়েছে, মানসম্মত কাজের আলাদা মর্যাদা রয়েছে। আমির ও তার পুরো টিমকে অভিনন্দন।
ছবিটি মূলত ২০০৭ সালের জনপ্রিয় ছবি ‘তারে জামিন পার’-এর সিক্যুয়েল। আগের ছবির আবেগঘন সামাজিক প্রেক্ষাপট থেকে এবার গল্প এগিয়েছে খেলার মাঠে। এখানে আমির খানকে দেখা গেছে এক বাস্কেটবল কোচের চরিত্রে, যার নেতৃত্বে উঠে আসে প্রতিভাবান একদল সুবিধাবঞ্চিত কিশোর-কিশোরী।
ছবিতে আমিরের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ভূমিকায় আছেন জেনেলিয়া ডিসুজা, যিনি একজন সমাজকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তাদের অভিনয়, নির্মাণের আবেগ, সংলাপ এবং সংগীত—সব মিলিয়ে দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়েছে।
সমালোচকদের মতে, ছবিটি কেবল একটি স্পোর্টস-ড্রামা নয়, বরং সমাজে পিছিয়ে পড়া কিশোরদের সম্ভাবনা ও পুনর্গঠনের গল্প—যা বাস্তবতা ও অনুপ্রেরণার দারুণ মিশেল।
‘সিতারে জামিন পার’ এখন আমির খানের ক্যারিয়ারের আরেকটি মাইলফলক হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিতর্ক, বিলম্ব শুরুর পরও যে একটি ভালো গল্প দর্শকদের মন জয় করতে পারে—তা আবারও প্রমাণ করলেন ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’।