গণ-অভ্যুত্থানে হামলা
৬৪ শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার, ৭৩ জনের সনদ বাতিল

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২৫, ০২:৪৮ পিএম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি : সংগৃহীত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৬৪ শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া ৭৩ জন সাবেক শিক্ষার্থীর শিক্ষাসনদ স্থায়ীভাবে বাতিল করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত ও সনদ বাতিল হওয়া অধিকাংশ শিক্ষার্থীই নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
সোমবার (৪ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান। তিনি বলেন, গত বছরের ১৪ থেকে ১৭ জুলাই গণ-আন্দোলনের সময় সংঘটিত হামলা বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ।
আরো পড়ুন : রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
উপাচার্য জানান, হামলায় মোট অভিযুক্ত ২২৯ জন শিক্ষার্থী চিহ্নিত হয়েছেন। এর মধ্যে ৯৯ জন সাবেক ও ১৩০ জন বর্তমান শিক্ষার্থী। বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬৪ জনকে আজীবনের জন্য, ৩৭ জনকে ২ বছরের জন্য, ৮ জনকে ১ বছরের জন্য এবং ১ জনকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, সাবেক ৯৯ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭৩ জনের শিক্ষাসনদ সম্পূর্ণভাবে বাতিল, ৬ জনের সনদ ২ বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির সুপারিশে অভিযুক্ত ৪০ জন শিক্ষার্থীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ২০ জন বর্তমান ও ২০ জন সাবেক শিক্ষার্থী। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য জানান, তদন্তে সরাসরি সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও অধিকতর তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আব্দুর রব বলেন, অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সাক্ষ্য-প্রমাণ মেলেনি। ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করেও তাদের জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এছাড়া, ঘটনার সময় বহিরাগত সন্ত্রাসী ও পুলিশ বাহিনীর কর্মকাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনবহির্ভূত ছিল বলে উল্লেখ করেন উপাচার্য। তিনি জানান, এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) পাঠানো হবে।