ডাকসু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেন উমামা ফাতেমা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:২৭ এএম

উমামা ফাতেমা। ছবি : সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী উমামা ফাতেমা। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এ সিদ্ধান্ত জানান।
উমামা ফাতেমা লেখেন, “বয়কট! বয়কট! ডাকসু বর্জন করলাম। সম্পূর্ণ নির্লজ্জ কারচুপির নির্বাচন। ৫ আগস্টের পরে জাতিকে লজ্জা উপহার দিল ঢাবি প্রশাসন। শিবির পালিত প্রশাসন।”
এর আগে রাত ২টা ৩০ মিনিটে দেওয়া অপর এক পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, “চলিতেছে সার্কাস। কে কে দেখতেছেন?!” তখন ডাকসুর মাত্র পাঁচটি হলের ফল ঘোষণা হয়েছিল। সে সময় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম) পেয়েছিলেন ৭০৭৬ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছিলেন ১৭৮৯ ভোট, আর উমামা পেয়েছিলেন ১৩১৬ ভোট।
ফেসবুকে দেওয়া তার ওই পোস্ট ঘিরে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। রাত সাড়ে তিনটা নাগাদ পোস্টটিতে সাড়ে তিন হাজারের বেশি রিঅ্যাকশন ও আট শতাধিক মন্তব্য হয়। আর ভোর ৫টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত তার সর্বশেষ পোস্টে রিঅ্যাকশন দাঁড়ায় ১৫ হাজারে, মন্তব্য ১৯০০-এ। এ সময় পর্যন্ত উমামার ঝুলিতে পড়েছিল ২১০০ ভোট।
অন্যদিকে, ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী মো. আবিদুল ইসলাম খানও পৃথক এক পোস্টে অভিযোগ করেন, “পরিকল্পিত কারচুপির এই ফলাফল দুপুরের পরপরই অনুমান করেছি। নিজেদের মতো করে সংখ্যা বসিয়ে নিন। এই পরিকল্পিত প্রহসন প্রত্যাখ্যান করলাম।”
আরো পড়ুন : শীর্ষ তিন পদে জয়ের পথে শিবির সমর্থিতরা
এর আগে রাত পৌনে ২টা থেকে হলে হলে পৃথকভাবে ফল ঘোষণা শুরু হয়।
দীর্ঘ ছয় বছর পর আয়োজিত মিনি পার্লামেন্ট খ্যাত ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি কেন্দ্রে ৮১০টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
এবারের নির্বাচনে ডাকসুর ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন মোট ৪৭১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে নারী প্রার্থী ছিলেন ৬২ জন। সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে লড়েছেন ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রার্থী। নারী প্রার্থীদের মধ্যে ভিপি পদে ৫ জন, জিএস পদে একজন এবং এজিএস পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
মোট ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন শিক্ষার্থী ভোটার তালিকাভুক্ত ছিলেন। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ২০ হাজার ৮৭৩ জন এবং ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯০২ জন। নির্বাচনে ভোটগ্রহণের হার ছিল ৮০ শতাংশের বেশি।