টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি প্রকাশ, একই গ্রুপে ভারত-পাকিস্তান

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৫, ০৪:১৬ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
আগামী বছর জুন-জুলাইয়ে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দশম আসর। এবারের টুর্নামেন্ট হতে যাচ্ছে সবচেয়ে বড়- প্রথমবারের মতো অংশ নিচ্ছে ১২টি দল।
ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে পুরো সূচি। স্বাগতিক ইংল্যান্ড খেলবে উদ্বোধনী ম্যাচে, ১২ জুন এজবাস্টনে তাদের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। ১২ দলের এই আসরে গ্রুপ পর্বের দলগুলোর নামও জানিয়ে দিয়েছে আইসিসি।
গ্রুপ-১ এ খেলবে অস্ট্রেলিয়া (বহুবারের চ্যাম্পিয়ন), ২০২৪-এর ফাইনালিস্ট দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, পাকিস্তান এবং গ্লোবাল কোয়ালিফায়ার থেকে উঠে আসা দুই দল। গ্রুপ-২ এ খেলবে স্বাগতিক ইংল্যান্ড, বর্তমান চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, সাবেক চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং বাকি দুই কোয়ালিফায়ার দল।
দুই গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুটি দল উঠবে সেমিফাইনালে, যেগুলো হবে ৩০ জুন ও ২ জুলাই লন্ডনের দ্য ওভালে। ফাইনাল হবে ক্রিকেটের তীর্থভূমি লর্ডসে, ৫ জুলাই। ২৪ দিনব্যাপী এই টুর্নামেন্টে মোট ৩৩টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ইংল্যান্ডের সাতটি ঐতিহাসিক ভেন্যুতে, এজবাস্টন, হ্যাম্পশায়ার বোল, হেডিংলি, ওল্ড ট্র্যাফোর্ড, দ্য ওভাল, ব্রিস্টল কাউন্টি গ্রাউন্ড এবং লর্ডস।
ইংল্যান্ড অধিনায়ক ন্যাট স্কিভার-ব্রান্ট বলেন, “বিশ্বকাপ সবসময়ই বিশেষ কিছু, তবে এবারেরটা আরও আলাদা। এটা সত্যিই একটা বদলের সূচনা হতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “এটা আমাদের খেলাধুলার জন্য এক বিশাল মুহূর্ত। দেশের মাটিতে, বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের বিপক্ষে, সবচেয়ে বড় ট্রফির জন্য লড়াই—এমন সুযোগ বারবার আসে না। আমি রোমাঞ্চিত।
তিনি বলেন, এই টুর্নামেন্ট কেবল ক্রিকেটপ্রেমীদের চোখ ধাঁধানো ম্যাচ দেখাবে না, একই সঙ্গে দেশের হাজার হাজার নারী ও মেয়েদের ক্রিকেটে অংশ নিতে অনুপ্রাণিত করবে।
টুর্নামেন্ট পরিচালক বেথ ব্যারেট-উইল্ড বলেছেন, এই বিশ্বকাপ আমাদের জন্য একটা বিশাল সুযোগ, নারী ক্রিকেট নিয়ে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দেওয়ার।
তিনি বলেন, ইংল্যান্ডের নানা ঐতিহাসিক ভেন্যুতে আমরা দেখব বিশ্বের সেরা অ্যাথলেটদের লড়াই করতে। মাঠে প্রতিটি বল, প্রতিটি রান হবে একটি বড় পরিবর্তনের অংশ। এটা নারী ক্রিকেট ও নারী খেলাধুলার জন্য সেই মঞ্চ, যেটা তারা অনেকদিন ধরেই প্রাপ্য ছিল।
এবারের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কেবল একটি টুর্নামেন্ট নয়, বরং হতে চলেছে একটি বৈপ্লবিক অধ্যায় যেখানে খেলার পাশাপাশি ঘটবে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনও।