টি-টোয়েন্টিতে অনন্য রেকর্ড সাকিবের

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৫, ০৮:৩৬ এএম

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম বাঁহাতি বোলার হিসেবে ৫০০ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। ছবি : সংগৃহীত
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ৫০০ উইকেট পূর্ণ করতে মাত্র ২ উইকেট দূরে ছিলেন বিশ্বসেরা সাকিব আল হাসান। সেই মাইলফলকের অপেক্ষা নিয়েই নামেন ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) এবারের আসরে।
প্রথম ম্যাচেই পান ১ উইকেট, কিন্তু পরবর্তী চার ম্যাচে পর্যাপ্ত বোলিংয়ের সুযোগ না পেয়ে ইতিহাসগড়া মুহূর্তটিকে বারবার মিস করেন তিনি। অবশেষে ষষ্ঠ ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিংয়ে পূর্ণ করেন স্বপ্নের অর্জন।
রোববার সেইন্ট কিটস এন্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের বিপক্ষে মাত্র ২ ওভারে ১১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন সাকিব। এর মধ্যে পাকিস্তানি ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ফিরতি ক্যাচ নিয়ে স্পর্শ করেন ৫০০ উইকেটের মাইলফলক। পরে আরো ২ শিকার ধরে তার উইকেটসংখ্যা দাঁড়ায় ৫০২।
আরো পড়ুন : বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের সূচি ঘোষণা আফগানিস্তানের
ম্যাচ শেষে সাকিব জানান, দীর্ঘদিনের কঠোর পরিশ্রমের ফল এটি, আর এমন অর্জনে তিনি ভীষণ খুশি।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম বাঁহাতি বোলার হিসেবে ৫০০ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। একই সঙ্গে তিনি বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার, যিনি এই ফরম্যাটে ৫০০ উইকেট ও ৭ হাজার রানের অনন্য ‘ডাবল’ পূর্ণ করেছেন।
প্রথম পাঁচ ম্যাচে চার ইনিংস মিলিয়ে মাত্র ৫ ওভার বোলিংয়ের সুযোগ পান সাকিব, যেখানে উইকেট ছিল মাত্র ১টি। তাই স্বাভাবিকভাবেই অপেক্ষা দীর্ঘ হয়।
এ বিষয়ে সাকিব বলেন, এই অর্জনের পেছনে অনেক কঠোর পরিশ্রম রয়েছে। মাইলফলক স্পর্শ করতে পেরে আমি সত্যিই খুশি। লম্বা ক্যারিয়ারে যা কিছু অর্জন করেছি, তার জন্য আমি সন্তুষ্ট।
দলের জন্য অবদান রাখার অপেক্ষায় থাকেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত কয়েক ম্যাচে আমি খুব বেশি বোলিংয়ের সুযোগ পাইনি। তাই কিছুটা নার্ভাসনেস কাজ করছিল। তবে এটা পুরোটা দলের জন্য। যখনই সুযোগ আসবে, দলের সাফল্যে অবদান রাখতে চাই।
সাকিবের সঙ্গে বর্তমানে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে অবস্থান করছেন তার পরিবারের সদস্যরাও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে নিয়মিতই ছবি শেয়ার করছেন এই অলরাউন্ডার। পরিবারের উপস্থিতিকে তিনি বড় প্রেরণা মনে করেন।
সাকিব জানান, পরিবার সবসময় আমার সঙ্গে থেকেছে। তবে এখন সন্তানদের স্কুলের কারণে সব জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায় না। গ্রীষ্মকালীন ছুটি থাকায় এবার ওরা আমার সঙ্গে আছে। এটা সত্যিই দারুণ ব্যাপার। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবার পাশে থাকলে আলাদা স্বস্তি কাজ করে।