চলমান এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ভারতকেও হারানো সম্ভব, এ কথাটি সরাসরি জানিয়েছেন টাইগার হেড কোচ ফিল সিমন্স। তার বিশ্বাস, সুযোগগুলো সঠিকভাবে কাজে লাগালে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ জয়ী হতে পারে। সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এক জয়ের পর মানসিকভাবে ফুরফুরে মেজাজে আছে টাইগাররা। এবার তারা স্বপ্ন দেখছে আরেকটি ফাইনালে খেলার।

হংকং ও আফগানিস্তানকে হারিয়ে ‘বি’ গ্রুপ রানার্স-আপ হয়ে সুপার ফোরে ওঠে বাংলাদেশ। শুরুটা দারুণ হয়েছে টাইগারদের জন্য, শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারিয়ে পেয়েছে শুভ সূচনা। এই লঙ্কানদের কাছেই গ্রুপ পর্বে ৬ উইকেটে হেরেছিল লিটন দাসের দল।

এশিয়া কাপের সুপার ফোরে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হওয়া ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে টি-স্পোর্টস ও নাগরিক টিভি।

পরিসংখ্যান ও শক্তিমত্তায় ভারত এগিয়ে থাকলেও সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বাংলাদেশকে আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে। টাইগাররা চলমান টুর্নামেন্টে সেরা বোলিং পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেছে। উইকেট ধীর গতির হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাবনা বাড়ছে।

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে দুইবারসহ চারটি ম্যাচ জিতেছে ভারত। তবে বাংলাদেশের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স চিন্তিত নন। তার মতে, প্রতিটি দলেরই ভারতকে হারানোর সম্ভাবনা আছে। আগের ম্যাচের ফলাফল নিয়ে আমরা ভাবছি না। এটি নতুন ম্যাচ, আমরা নতুন কৌশল নিয়ে খেলব।

তিনি বলেন, সাড়ে তিন ঘণ্টার ম্যাচে নিজেদের সেরাটা খেলব এবং ভারতের পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়ে জয় নিশ্চিত করার চেষ্টা করব।

আরো পড়ুন : ভারতকে হারাতে মরিয়া বাংলাদেশ

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১৭ বার মুখোমুখি হয়েছে ভারত। এরমধ্যে মাত্র একবার জয় পায় বাংলাদেশ। ২০১৯ সালে ভারত সফরে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারতকে ৭ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এশিয়া কাপে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ১৫ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ মাত্র দু’বার জিতেছে এবং ১৩ বার হেরেছে। ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে দুই ম্যাচেই হেরেছিল টাইগাররা।

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে অধিনায়ক লিটন দাস ইনজুরিতে থাকলেও খেলবেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে দারুণ ফর্মে আছেন লিটন। ৪ ইনিংসে করেছেন ১১৯ রান।

বাংলাদেশ স্কোয়াড : লিটন দাস (অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক), তানজিদ হাসান, পারভেজ হাসান ইমন, সাইফ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলি, শামিম হোসেন, নুরুল হাসান, মাহেদি হাসান, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান, শরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।

ভারত স্কোয়াড : সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), শুভমান গিল (সহ-অধিনায়ক), অভিষেক শর্মা, তিলক ভার্মা, হার্দিক পান্ডিয়া, শিবাম দুবে, অক্ষর প্যাটেল, জিতেশ শর্মা (উইকেটরক্ষক), জসপ্রিত বুমরাহ, আর্শদীপ সিং, বরুন চক্রবর্তী, কুলদ্বীপ যাদব, সঞ্জু স্যামসন (উইকেটরক্ষক), হার্ষিত রানা, রিংকু সিং।