×
Icon ব্রেকিং
উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত, ১৭১ জন আহত হয়েছেন

অপরাধ

বাংলাদেশের ইতিহাসে যত বিমান দুর্ঘটনা

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ জুলাই ২০২৫, ০৭:২২ পিএম

বাংলাদেশের ইতিহাসে যত বিমান দুর্ঘটনা

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে একটি ভবনে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। সোমবার (২১ জুলাই, ২০২৫) দুপুর সোয়া ১টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তবে বিমান বা হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত বাংলাদেশে নতুন কিছু নয়। বিভিন্ন কারণে অতীতেও এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে। এদেশের ইতিহাসে কয়েকটি আলোচিত বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে আলোচনা করা হলো—

১৯৭২ সাল

বাংলাদেশে প্রথম বিমান দুর্ঘটনা ঘটে ১৯৭২ সালে। ওই বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি ম্যাগডোনালস ডগলাস কোম্পানির তৈরি ডিসি-৩ এয়ারক্রাফটটি বিধ্বস্ত হয়। তাতে পাঁচজন ক্রু নিহত হন।

১৯৭৬ সাল

১৯৭৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর দেশে দ্বিতীয়বারের মতো বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। তাতে তৎকালীন বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল খাদেমুল বাশার এবং স্কোয়াড্রন লিডার মফিজুল হক নিহত হন।

১৯৮৪ সাল

১৯৮৪ সালের ৫ আগস্ট ঢাকায় খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে অবতরণ করার সময় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফকার এফ২৭-৬০০ বিমানটি বর্তমান শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছাকাছি একটি জলাভূমির মধ্যে ক্র্যাশ করে। বিমানটি চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বিমানবন্দর থেকে পূর্বনির্ধারিত ঘরোয়া যাত্রী ফ্লাইট পরিচালনা করছিল। এতে ৪ জন ক্রু ও ৪৫ জন যাত্রীসহ সবাই নিহত হন।

১৯৯৩ সাল

১৯৯৩ সালে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান এফটি-৫ বিধ্বস্ত হয়। এতে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট কুদ্দুস নিহত হন। 

১৯৯৬ সাল

১৯৯৬ সালে পরস্পরের সঙ্গে সংঘর্ষে বিমানবাহিনীর দুটি পিটি-৬ প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। এই দুর্ঘটনায় উইং কমান্ডার হক, স্কোয়াড্রন লিডার ইসলাম ও ফ্লাইং অফিসার মাসুদ নিহত হন।

১৯৯৭ সাল

১৯৯৭ সালের ২২ ডিসেম্বর ৮৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ফকার এফ২৮-৪০০০ মডেলের বিমানটি দুর্ঘটনার শিকার হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিজি-৬০৯ ঢাকা থেকে সিলেট যাচ্ছিল। সিলেট বিমানবন্দরে অবতরণ করার সময় কুয়াশার কারণে রানওয়ের পাদদেশ থেকে ৫ থেকে সাড়ে ৫ কিলোমিটার দূরে উমাইরগাঁও নামক স্থানের একটি ধানক্ষেতে বিধ্বস্ত হয়। এতে ১৭ জন যাত্রী অহত হন।

১৯৯৮ সাল

১৯৯৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর প্রশিক্ষণ উড্ডয়নের সময় এয়ার পারাবতের একটি বিমানে আগুন ধরলে ঢাকার পোস্তগোলায় বিধ্বস্ত হয়। ওই ঘটনায় পাইলট কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের মেয়ে ফারিয়া লারা (২৬) এবং কো-পাইলট সৈয়দ রফিকুল ইসলাম নিহত হন। ওই বছরের ২৬ অক্টোবর টাঙ্গাইলের মধুপুরে বিমানবাহিনীর মিগ-২১ বিধ্বস্ত হয়। এতে এক পাইলট নিহত হন।

২০০২ সাল

২০০২ সালের ১৯ অক্টোবর বিমান বাহিনীর একটি এম-১ হেলিকপ্টার চট্টগ্রামে সার্জেন্ট জহুরুল হক বিমান ঘাঁটির কাছে টেলিভিশন টাওয়ারে ধাক্কা লেগে বিধ্বস্ত হয়। সেই দুর্ঘটনায় নিহত হন উইং কমান্ডার কাজী কামরুল নেওয়াজ, ফ্লাইং অফিসার সাব্বির আহমেদ, ওয়ারেন্ট অফিসার জহির হোসেন ও সার্জেন্ট আবদুস সামাদ। 

২০০৪ সাল

২০০৪ সালের ৮ অক্টোবর আবারও সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনা ঘটে। এটিও ১৯৯৭ সালে দুর্ঘটনার কবলে পড়া বিমানের মডেলের অনুরুপ ফকার এফ২৮-৪০০০ মডেল। সেদিন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিজি-৬০১ ঢাকা থেকে সিলেট যাচ্ছিল। অবতরণের পর রানওয়ে ভেজা থাকার কারণে বিমানটি রানওয়ে থেকে ছিটকে খাঁদে পড়ে যায়। এতে ৭৯ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রুর মধ্যে ২ জন যাত্রী আহত হন।

২০০৮ সাল

২০০৮ সালের ৮ এপ্রিল আরেকটি এফ-৭ এমবি জঙ্গি বিমান বিধ্বস্ত হয় টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার পাহাড়িপাড়া গ্রামে। চালক স্কোয়াড্রন লিডার মোরশেদ হাসান বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে প্যারাস্যুটের মাধ্যমে অবতরণের চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

২০০৯ সাল

২০০৯ সালের ৯ মার্চ যশোর থেকে ঢাকায় আসার পথে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে নিহত হন মেজর জেনারেল রফিকুল ইসলাম এবং হেলিকপ্টারের পাইলট লে. কর্নেল শাহীদ ইসলাম।

২০১০ সাল

২০১০ সালের ২০ ডিসেম্বর এক বিয়োগান্তক ঘটনা ঘটে। ওই দিন বিমানবাহিনীর পিটি-৬ মডেলের একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে দু’জন স্কোয়াড্রন লিডার প্রাণ হারান।

২০১৩ সাল

২০১৩ সালের জুলাইয়ে রাশিয়ার তৈরি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান এ-ফাইভ পটিয়া উপজেলার একটি বিলে পড়ে। এর আগে প্যারাস্যুটের সাহায্যে নিরাপদে অবতরণ করেন পাইলট ফ্লাইট লে. আবু জাহের আরাফাত। 

২০১৪ সাল

২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি যশোরে সদর উপজেলার মাহিদিয়া গ্রামের ধানক্ষেতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি পিটি-৬ প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। ওই ঘটনায় অক্ষত থাকেন বিমানের দুই পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার ফারুক ও পাইলট অফিসার জামি।

২০১৫ সাল

২০১৫ সালের আগস্টে সিলেট বিমানবন্দরের রানওয়েতে আরেক দফা দুর্ঘটনা ঘটে। সেদিন দুবাই থেকে সরাসরি আসা উড়োজাহাজে ২২০ জন যাত্রী ছিলেন। ওই সময় বিজি-৫২ বিমানের ডানদিকের ইঞ্জিনের ভেতর পাখি ঢুকে পড়ে। তখন চারটি ব্লেড ভেঙে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। সকাল ৭টায় রানওয়েতে অবতরণের সময় এ ঘটনা ঘটে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

২০১৫ সাল

ওই বছরের ৯ মার্চ কক্সবাজারে একটি কার্গো বিমান বঙ্গোপসাগরে বিধ্বস্ত হয়। সে ঘটনায় পাইলটসহ ৩ জন নিহত হন। উড্ডয়নের ৫ মিনিটের মাথায় সাগরে আছড়ে পড়ে বিমানটি।

২০১৮ সাল

২০১৮ সালের ১২ মার্চ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (টিআইএ) ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। ৬৭ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রুবাহী বিমান থেকে ১৭ যাত্রীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় প্রায় ৫০ জনের প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করেছে টিআইএ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

দুর্ঘটনা এড়াতে যা করেছিলেন পাইলট তৌকির

দুর্ঘটনা এড়াতে যা করেছিলেন পাইলট তৌকির

সাগরিকার ৪ গোলে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

সাগরিকার ৪ গোলে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

সন্তানদের ছবি হাতে হাসপাতালে খুঁজছেন অনেক স্বজন

সন্তানদের ছবি হাতে হাসপাতালে খুঁজছেন অনেক স্বজন

একজন বাবা হিসেবে এই যন্ত্রণা গভীরভাবে অনুভব করছি: সাকিব

একজন বাবা হিসেবে এই যন্ত্রণা গভীরভাবে অনুভব করছি: সাকিব

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App