ভুয়া এনএসআই পরিচয়ে চাঁদাবাজি, হাতেনাতে গ্রেপ্তার

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৫, ১২:৪৩ পিএম

গ্রেপ্তার মো. নাজমুল হোসেন। ছবি : ভোরের কাগজ
নাটোরের গুরুদাসপুরে ভুয়া এনএসআই (জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা) অফিসারের পরিচয় দিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছেন মো. নাজমুল হোসেন (৩০) নামে এক প্রতারক।
আটক নাজমুল হোসেন গুরুদাসপুর উপজেলার খামার নাচকৈড় গ্রামের বাসিন্দা এবং মকবুল হোসেনের ছেলে।
রবিবার (৩ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে গুরুদাসপুর পৌর এলাকার মডেল মসজিদের সামনে থেকে তাকে আটক করে এনএসআই নাটোর শাখা। অভিযান পরিচালনায় এনএসআই ছাড়াও সেনাবাহিনী, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিএসবি) ও গুরুদাসপুর থানা পুলিশ অংশ নেয়।
জানা যায়, নাজমুল হোসেন গত এক সপ্তাহ ধরে নিজেকে এনএসআইয়ের ফিল্ড অফিসার পরিচয় দিয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অফিসে একাধিকবার গিয়ে কর্মকর্তাদের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। খাদ্য গুদামে নিম্নমানের চাল সরবরাহের মিথ্যা অভিযোগ তুলে তিনি গোডাউন ও অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন। এমনকি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ভুয়া চিঠিও ব্যবহার করতেন তিনি।
আরো পড়ুন : তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, শঙ্কায় তিস্তা পাড়ের মানুষ
রবিবার রাতে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের প্রধান সহকারী জুলহাস উদ্দিন কৌশলে তাকে ফাঁদে ফেলেন। তিনি নাজমুলকে ৫ লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলে মডেল মসজিদের সামনে আসতে বলেন। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ওঁৎ পেতে থাকা এনএসআই ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা নাজমুলকে সেখান থেকে হাতেনাতে আটক করে গুরুদাসপুর থানায় হস্তান্তর করেন।
এরপর সোমবার (৪ আগস্ট) সকালে জুলহাস উদ্দিন থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। গুরুদাসপুর থানার ওসি আসমাউল হক জানান, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রেকর্ড করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
নাটোর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. রেজাউল হক খন্দকার জানান, বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করার পরই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এনএসআই’র সহকারী পরিচালক জাকির হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম গঠন করে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, নাজমুল একা নয়, তার পেছনে একটি প্রভাবশালী চক্র সক্রিয় রয়েছে। তারা দাবি করেছেন, নাজমুলকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে পুরো চক্রের হোতাদের নাম বেরিয়ে আসবে।