গোপালগঞ্জে কারফিউ, থমথমে শহরে সড়কে যান চলাচল সীমিত

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৯:৪৮ এএম

সকাল থেকে শহরের প্রধান সড়ক ও বাজারগুলোতে মানুষের উপস্থিতি সীমিত। ছবি : সংগৃহীত
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা ঘিরে গোপালগঞ্জে দিনভর সংঘর্ষ, হামলা ও অগ্নিসংযোগের পর বুধবার (১৬ জুলাই) রাত থেকে পুরো শহরে কারফিউ জারি রয়েছে। রাতের আতঙ্কময় পরিস্থিতি কাটিয়ে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকাল থেকে শহরের প্রধান সড়ক ও বাজারগুলোতে মানুষের উপস্থিতি সীমিত হলেও ধীরে ধীরে কিছু যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
বুধবার দিনভর আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ ও সংঘর্ষে ৪ জন নিহত ও অন্তত ৯ জন গুলিবিদ্ধ হন। আহত হয়েছেন আরো অর্ধশতাধিক মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসন রাতেই কারফিউ জারি করে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকাল ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত শহরের ঘোনাপাড়া মোড়, এলজিইডি মোড়, গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল এলাকা, কোট চত্বর, লঞ্চঘাট ও পুলিশ লাইনস মোড় ঘুরে দেখা যায়—সড়কে কিছু মানুষ জরুরি প্রয়োজনে বের হয়েছেন। রিকশা, ইজিবাইক ও কিছু মাহিন্দ্রা চলাচল করছে। তবে স্থানীয় রুটের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে, চলেছে শুধু দূরপাল্লার যানবাহন।
আরো পড়ুন : গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে অন্তত ৪ জন নিহত: বিবিসি বাংলা
সকালেও শহরের বিভিন্ন স্থানে পড়ে থাকতে দেখা গেছে ভাঙচুরের চিহ্ন। কোথাও রাস্তার ওপর কেটে ফেলা গাছ, কোথাও ইট-পাটকেল ও বাঁশ ফেলে রাখা হয়েছে। ঘোনাপাড়া মোড়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে একটি রেইনট্রি গাছ কেটে ফেলায় যান চলাচল আংশিকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয় এক নারী নিজেই গাছ কেটে সরানোর চেষ্টা করছেন। তিনি জানান, রাতে কেউ গাছ কেটে ফেলেছে। সংসারের কাজে লাগবে ভেবে কিছু ডালপালা কেটে নিচ্ছি।
এদিকে, পুলিশের তৎপরতা না থাকায় কোথাও কোনো চেকপোস্ট বা বিশেষ নিরাপত্তা চোখে পড়েনি। তবে পৌরসভা এলাকায় কয়েকজন গ্রাম-পুলিশ ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী দায়িত্ব পালন করছেন।
শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ থাকলেও কিছু চায়ের দোকান ও রেস্তোরাঁ খুলেছে। কাঁচাবাজারে এবং কিছু ফলের দোকানেও সীমিত বেচাকেনা হচ্ছে। লোকাল বাসগুলো কারফিউয়ের কারণে বন্ধ। তবে ঢাকাসহ দূরপাল্লার বাসগুলো স্বাভাবিকভাবে চলছে।
গোপালগঞ্জের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসনের কঠোর অবস্থান থাকলেও ভোর থেকে পুলিশের টহল বা চেকপোস্ট দেখা যায়নি।