তোপের মুখে ‘বিরিয়ানি হাউস’ উদ্বোধন না করেই ফিরলেন প্রিন্স মামুন

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৫, ১১:৩৯ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে তোপের মুখে বিরিয়ানি হাউস উদ্বোধন না করেই ফিরে গেলেন টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুন। সোমবার (১৪ জুলাই) উপজেলা সদরের শিকদার মার্কেটে একটি বিরিয়ানি হাউস উদ্বোধনের কথা ছিল প্রিন্স মামুনের। তবে স্থানীয় জনতা, ওলামা ঐক্য পরিষদ ও খেলাফত মজলিসের বাধায় উদ্বোধন না করেই ফিরে যান তিনি।
উপজেলা বাজারে শিকদার মার্কেটে নান্না বিরিয়ানি হাউসের একটি শাখা উদ্বোধনের কথা ছিল টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের। দুপুরে ঢাকা থেকে রওনা হয়ে বিকাল ৩টার দিকে কাশিয়ানীতে পৌঁছান তিনি।
প্রিন্স মামুনের আগমনকে ঘিরে উপজেলাজুড়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই লিফলেট বিতরণ ও প্রচার-প্রচারণা করে আসছিলেন বিরিয়ানি হাউস কর্তৃপক্ষ। তবে প্রিন্স মামুনকে উপজেলায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তার আগমন ঠেকাতে এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে খেলাফত মজলিস ও ওলামা ঐক্য পরিষদসহ স্থানীয় জনতা কাশিয়ানী থানায় আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কাশিয়ানী থানা পুলিশ বিরিয়ানি হাউস কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান এবং আইনশৃঙ্খলার যেন বিঘ্ন না ঘটে তার জন্য নির্দেশ দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় বিরিয়ানি হাউস কর্তৃপক্ষ প্রিন্স মামুনের প্রোগ্রাম বাতিল করে। যার ফলে কাশিয়ানীতে এসেও বিরিয়ানি হাউস উদ্বোধন না করেই ফিরে যান প্রিন্স মামুন।
কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, প্রিন্স মামুনের কাশিয়ানীতে একটি বিরিয়ানি হাউস উদ্বোধনের কথা ছিল। কিন্তু স্থানীয় জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে যান এবং তার প্রোগ্রাম বন্ধে থানায় আবেদন করেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন বিঘ্ন না ঘটে সেজন্য বিরিয়ানি হাউস কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করি। পরে তারা প্রিন্স মামুনের প্রোগ্রাম বাতিল করেন।
কাশিয়ানী উপজেলা ওলামা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল করীম বলেন, মামুন তো চরিত্রহীন। তার দ্বারা যুবসমাজ ধ্বংস হচ্ছে। সে হচ্ছে টিকটকার। টিকটকের মাধ্যমে ছেলে-মেয়েদের সে নষ্ট করছে। আমরা জানতে পেরেছি সে কাশিয়ানীতে এসে একটি বিরিয়ানি হাউস উদ্বোধন করবে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় যুব সমাজ ক্ষিপ্ত ছিল। সবকিছু বিবেচনা করেই আমরা উপজেলা ওলামা ঐক্য পরিষদ ও খেলাফত মজলিস মামুনের আগমন ঠেকাতে থানায় আবেদন করি। কাশিয়ানী থানা আমাদের অনেক সহযোগিতা করেছে। আমরা টিকটকার মামুনের আগমন ঠেকাতে পেরেছি। যুব সমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে পেরেছি।
নান্না বিরিয়ানি হাউসের মালিকের ভাই মনির হোসেন বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, মামুন ভাঙ্গা পার হয়ে প্রায় মুকসুদপুর পর্যন্ত চলে আসছিল। পরে তিনি নিজস্ব সমস্যার কথা জানিয়ে প্রোগ্রাম বাতিল করেছেন।