এক বছরে বাধ্যতামূলক অবসরে ২৯, পদোন্নতি ১ হাজার ৫৪৯ জন কর্মকর্তার

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২৫, ০৯:০৫ এএম

ছবি : সংগৃহীত
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এক বছরে প্রশাসনে ব্যাপক রদবদল ও শুদ্ধি অভিযানে নেমেছে। এ সময় সচিব ও সিনিয়র সচিব পর্যায়ের নয়জনসহ মোট ২৯ জন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
একই সময়ে নিয়মিত ও ভূতাপেক্ষ মিলিয়ে পদোন্নতি পেয়েছেন ১ হাজার ৫৪৯ জন কর্মকর্তা।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্মকাণ্ড পর্যালোচনায় উঠে এসেছে এসব তথ্য। সময়সীমা বিবেচনায় ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের ৭ আগস্ট পর্যন্ত সময়ের হিসাব নেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এ সময়ে অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার ১৯ জন, গ্রেড-১ পদের ১ জন, এবং সচিব-সিনিয়র সচিব পর্যায়ের ৯ জনসহ মোট ২৯ জন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও অনিয়মের অভিযোগ ছিল।
আরো পড়ুন : ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনে ইসিকে চিঠি প্রধান উপদেষ্টার
এ সময়ে উপসচিব পদে ১৪১ জন, যুগ্মসচিব পদে ৪২৪ জন, অতিরিক্ত সচিব পদে ১৪৯ জন, গ্রেড-১ পদে ২৬ জন এবং সচিব-সিনিয়র সচিব পদে ৪৫ জনসহ সর্বমোট ৭৮৫ জন কর্মকর্তাকে নিয়মিত পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে উপসচিব পদে চারজন, যুগ্মসচিব পদে ৭২ জন, অতিরিক্ত সচিব পদে ৫২৮ জন, গ্রেড-১ পদে ৪১ জন এবং সচিব পদে ১১৯ জনসহ সর্বমোট ৭৬৪ জন কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষভাবে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, গত এক বছরে উপসচিব পদের ১৬ জন, যুগ্মসচিব পদের ১৫ জন, অতিরিক্ত সচিব পদের ৭৫ জন, গ্রেড-১ পদের ৩৪ জন এবং সচিব-সিনিয়র সচিব পদের ২৪ জনসহ সর্বমোট ১৬৪ জন কর্মকর্তা কর্মকাল শেষে স্বাভাবিক অবসরে গেছেন।
এক বছরে ২৪টি বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে, আটটি বিভাগীয় মামলা নিষ্পত্তি করা হয়। এছাড়াও ১৬টি বিভাগীয় মামলা চলমান। প্রশাসনিক তদন্ত শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্মসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস এবং লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সাবেক সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম উর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, এক বছরে তিনটি অধ্যাদেশ প্রণয়ন, তিনটি বিধিমালা সংশোধন, একটি বিশেষ বিধিমালা প্রণয়ন এবং ২২টি নিয়োগ বিধিমালা বা প্রবিধানমালা প্রণয়ন বা সংশোধনে সুপারিশ দেওয়া হয়েছে।