ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকের একটি সরকারি দপ্তরের সাবেক কেরানি কালাকাপ্পা নিদাগুন্ডির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল অনেক দিন ধরেই। 

সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার তার বাড়িতে তল্লাশী চালাতে গিয়ে সম্পত্তির পরিমাণ দেখে হতভম্ব হয়ে গিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। খবর এনডিটিভির।

কালাকাপ্পা নিদাগুন্ডি কর্ণাটক গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন সংস্থার (কেআরডিল) কোপ্পাল শাখা দপ্তরে কেরানির চাকরি করতেন। মাসে বেতন পেতেন ১৫ হাজার টাকা। 

কিন্তু শুক্রবার কালাকাপ্পার বাসায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ জানতে পেরেছে যে কোপ্পাল ছাড়াও কর্ণাটকের আরও কয়েকটি জেলায় মোট ২৪টি বাড়ি আছে কালাকাপ্পার। সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি বাড়ি বেশ বিলাসবহুল।

পাশাপাশি কালাকাপ্পার রয়েছে ৪০ একর কৃষিজমি, ৪টি প্লট এবং একাধিক দামি গাড়ি। এছাড়াও তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩৫০ গ্রাম সোনা এবং দেড় কেজি পরিমাণ রূপার গয়না।

বাড়ি, কৃষিজমি, প্লট প্রভৃতি স্থাবর সম্পত্তিগুলোর মালিক হিসেবে নথিপত্রে নিজের, স্ত্রী এবং স্ত্রীর ভাইদের নাম উল্লেখ করেছেন কালাকাপ্পা।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে থাকা তদন্তকারী দলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কালাকাপ্পা নিদাগুন্ডি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে যেসব সম্পত্তি তারা উদ্ধার করেছেন, সেসবের বাজারমূল্য ৩০ কোটি টাকার কিছু বেশি। তবে নিদাগুন্ডির সম্পত্তির পরিমাণ আরও বেশি বলে নিশ্চিত তারা।

এক কর্মকর্তা ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, কালাকাপ্পা নিদাগুন্ডি এবং কেআরডিএল-এর প্রকৌশলী জেড এম চিনকোলকার পারস্পরিক যোগসাজশে রাজ্য সরকারের ৯৬টি প্রকল্প থেকে ৭২ কোটি রুপি তছরুপ করেছেন বলে আমরা তথ্য পেয়েছিলাম। 

সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। এবং আজকের (১ আগস্ট) অভিযানের পর আমাদের মনে হচ্ছে, উদ্ধারকৃত সম্পত্তির বাইরেও তার আরও অর্থ-সম্পত্তি আছে। আমাদের তদন্ত অব্যাহত থাকবে।