ট্রাম্পের শুল্ক হুমকি উপেক্ষা করে রাশিয়ার তেল কিনবে ভারত

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২৫, ০৯:৫০ এএম

ছবি : সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকি সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কেনা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে ভারত। ভারতের শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মস্কোর সঙ্গে যে দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি চুক্তি করেছে নয়াদিল্লি, তা একদিনে বাতিল করা সম্ভব নয়।
সম্প্রতি রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ক্রমবর্ধমান তেল বাণিজ্য নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। দুই দেশের অর্থনীতিকে ‘মৃত’ বলে কটাক্ষ করে তিনি নতুন করে নয়াদিল্লির পণ্যে শতভাগ শুল্ক আরোপের হুমকি দেন। ট্রাম্প সতর্ক করে বলেন, রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ না করলে ভারতসহ সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর জন্য কঠোর শুল্ক আরোপ করবে ওয়াশিংটন।
তবে হুমকির পরও শুক্রবার (১ আগস্ট) এক বক্তব্যে ট্রাম্প দাবি করেন, ভারত নাকি রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করছে। যদিও তিনি এ নিয়ে নিশ্চিত প্রমাণ দেখাতে পারেননি।
ট্রাম্পের সেই দাবিকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন দুই জ্যেষ্ঠ ভারতীয় কর্মকর্তা। নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক বিবৃতিতে তারা বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক হুমকি সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে তেল কেনা চলবে।
তাদের একজন জানান, আমরা মস্কোর সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি চুক্তিতে আবদ্ধ। রাতারাতি এ থেকে সরে আসা সম্ভব নয়। রাশিয়া এখন আমাদের সবচেয়ে বড় তেল সরবরাহকারী, যা মোট তেল আমদানির প্রায় ৩৫ শতাংশ।
আরো পড়ুন : রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্টের হুমকি: জবাবে পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েনের নির্দেশ ট্রাম্পের
ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই আমদানি কোনো আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করছে না। কারণ রাশিয়ার তেলের ওপর সরাসরি মার্কিন বা ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞা নেই, বরং জি-৭ ও ইইউ কেবল নির্দিষ্ট মূল্যসীমা বেঁধে দিয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমাদের জ্বালানি নীতি নির্ভর করছে বৈশ্বিক বাজারের পরিস্থিতির ওপর। আমরা সর্বোচ্চ জাতীয় স্বার্থ মাথায় রেখে উৎস ঠিক করি এবং এটি তৃতীয় কোনো দেশের চোখ দিয়ে দেখা অনুচিত।
এদিকে ট্রাম্পের শুল্ক হুমকির পাল্টা জবাবে ক্রেমলিনও হুঁশিয়ারি দিয়েছে, সিপিসি পাইপলাইন বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। কাস্পিয়ান অঞ্চল থেকে বিশ্ববাজারে বিপুল পরিমাণ তেল সরবরাহ হয় এই পাইপলাইনের মাধ্যমে, যা বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহের প্রায় ৩.৫ শতাংশ।