১২৬০০ ফুট উঁচু থেকে হঠাৎ নেমে আসা পানিতে ভেসে গেছেন ৯ সেনা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৫, ১১:৫৩ এএম

ছবি : সংগৃহীত
ভারতের উত্তরাখণ্ডে ১২৬০০ ফুট উঁচুতে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে আকস্মিক পানি ঢল নেমে আসে পাহাড়ের বুক চিরে নীচের দিকে।
ঘণ্টায় ৪৩ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়ে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে তছনছ করে দেয় উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর ধারালী গ্রাম এবং হর্ষিল উপত্যকাকে।
পাহাড় থেকে সাক্ষাৎ মৃত্যুদূত হয়ে ক্ষীরগঙ্গা ধরে নেমে আসে আকস্মিক বন্যা। সঙ্গে বয়ে নিয়ে আসে বিশাল বিশাল পাথর, বোল্ডার আর কাদার স্রোত। আর সেই পাথর, কাদা আর পানির স্রোতে একের পর এক বাড়ি, হোটেল নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ আছেন ১৫০ জনেরও বেশি। যারমধ্যে ৯ ভারতীয় সেনাও আছেন।
আরো পড়ুন : ক্ষুব্ধ ট্রাম্প, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারতের ওপর আরো শুল্ক বৃদ্ধির হুঁশিয়ারি
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) উত্তরাখণ্ডের হারসিলে আঘাত হানে আকস্মিক বন্যা। এরপর সেখানকার সেনাক্যাম্পে থাকা ৯ সেনা নিখোঁজ হন।
মঙ্গলবার মেঘভাঙা বৃষ্টি (ক্লাউডব্রাস্ট) হয় উত্তরাখণ্ডের ধারাইল গ্রামে। যা হারসিলের সেনাক্যাম্প থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে।
ধারাইল গ্রামটিতে রয়েছে গাংগ্রোতিতে যাওয়ার রাস্তা। এছাড়া সেখানে অনেক হোটেল, রেস্তোরাঁ রয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ক্ষীরগঙ্গা নদীর জলাধার এলাকায় ক্লাউডব্রাস্টের ঘটনা ঘটে। এতে সেখানে আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়। সামনে যা ছিল তার সবই ভাসিয়ে নিয়ে যায় এই আকস্মিক বন্যা।
ক্লাউডব্রাস্ট প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে অন্যতম বিপজ্জনক। ভারতের হিমালয়ীয় অঞ্চলগুলোতে ক্লাউডব্রাস্টের ঘটনা ঘটে। যখন ক্লাউডব্রাস্ট আঘাত হানে তখন খুবই কম সময়ের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়।
এতে করে হঠাৎ করে বন্যা সৃষ্টি হয়ে যায়। এ পানি যখন নিচু এলাকার দিকে গড়িয়ে যায় তখন তীব্র গতিতে সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যায়।
ভয়াবহ এ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরই ভারতের সেনাবাহিনী কাজ শুরু করে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযানে কোনো হেলিকপ্টার ব্যবহার করা যায়নি। আজও সেখানে ব্যাপক উদ্ধার ও নিখোঁজদের খুঁজে পাওয়ার অভিযান চলবে।