হিট ইনডেক্সে তাপমাত্রা ৫১.৯ ডিগ্রি, দিল্লিতে জারি রেড অ্যালার্ট

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫, ১০:৩৮ এএম

ছবি: সংগৃহীত
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। তীব্র গরমের মধ্যে হিট ইনডেক্সে তাপমাত্রা ৫১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছানোর এই অ্যালার্ট জারি করা হয়। দেশটির আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, রাজধানীতে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি চলছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১৩ জুন পর্যন্ত এই ভয়াবহ গরমের ধারা অব্যাহত থাকবে। ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (১২ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লিতে প্রচণ্ড গরমের দাপটে বুধবার রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। মূলত শহরের বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৯ থেকে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। এর সঙ্গে আর্দ্রতা যোগ হয়ে তৈরি হওয়া হিট ইনডেক্স (তাপমাত্রা অনুভব করার মাত্রা) এক লাফে পৌঁছেছে ৫১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক।
বুধবার বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে ভারতের এই রাজধানীর সবচেয়ে বেশি গরম ছিল আয়ানগরে, সেখানে তাপমাত্রা ছিল ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর পালাম (৪৪.৫), রিজ (৪৩.৬), পিতমপুরা (৪৩.৫), লোদি রোড (৪৩.৪), ময়ূর বিহার (৪০.৯) এবং সফদরজং (৪৩.৩) ছিল অন্যান্য গরম অঞ্চল।
হিট ইনডেক্সে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হওয়ার পর ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) জানিয়েছে, তাপমাত্রা ও আপেক্ষিক আর্দ্রতার ওপর নির্ভর করে প্রতিদিনের হিট ইনডেক্সের মান পরিবর্তিত হয়। যদিও এই হিট ইনডেক্স ভারতীয় আবহাওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে যাচাই করা হয়নি এবং এর কোনো সরকারি রেকর্ডও রাখা হয় না।
আবহাওয়া বিভাগ বলেছে, রাজধানী দিল্লিতে তাপপ্রবাহের (হিটওয়েভ) পরিস্থিতি চলছে, যদিও বুধবার কেবল আয়ানগরেই তাপপ্রবাহের অবস্থা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগের দিন তিনটি স্টেশনে এমন অবস্থা ছিল।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১৩ জুন পর্যন্ত এই ভয়াবহ গরমের ধারা অব্যাহত থাকবে। এরপর একটি পশ্চিমী ঝড় উত্তর-পশ্চিম ভারতে প্রবেশ করতে পারে, যা দিল্লিতে হালকা বৃষ্টি ও বজ্রপাত নিয়ে আসতে পারে।
আইএমডি-এর জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ড. নরেশ কুমার বলেন, “তীব্র গরম বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে। তবে ১৩ জুন রাতে যে পশ্চিমী ঝড় আসবে, তা তাপপ্রবাহ কমাতে সাহায্য করবে।”
এদিকে দিল্লির আর্দ্রতা বুধবার দিনভর ৩১% থেকে ৭৩% এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। সেই সঙ্গে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে শুকনো বাতাস বইতে থাকায় গরমের অনুভূতি আরও তীব্র হয়েছে।