৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইসরায়েল, স্থায়ী শান্তির আশ্বাস ট্রাম্পের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৫, ১০:২৭ এএম

ছবি: সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ৬০ দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয় শর্তে রাজি হয়েছে দখলদার ইসরায়েল। বুধবার (২ জুলাই) ভোরে এই তথ্য জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুদ্ধবিরতির এ সময়ের মধ্যেই স্থায়ীভাবে সংঘাত বন্ধে কাজ করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম 'ট্রুথ সোশ্যাল'–এ ট্রাম্প লেখেন, “৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি চূড়ান্ত করতে ইসরায়েল প্রয়োজনীয় শর্তে রাজি হয়েছে। এই সময়ে আমরা সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করব যুদ্ধ স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে।”
তিনি আরও বলেন, “কাতার ও মিসর শান্তি প্রতিষ্ঠায় কঠোর পরিশ্রম করেছে। তারা এই যুদ্ধবিরতির চূড়ান্ত প্রস্তাব দেবে। আমি আশা করি, হামাস এটি গ্রহণ করবে—কারণ, এই প্রস্তাব তাদের জন্য ভালো। না করলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।”
প্রসঙ্গত, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ৬০ দিনের একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আলোচনায় রয়েছে, যার সূত্রপাত হয়েছিল ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকোফের মাধ্যমে। ট্রাম্প সম্ভবত সেই প্রস্তাবের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।
তবে আলোচনাটি দীর্ঘদিন থমকে ছিল। কারণ, ইসরায়েল চায় যুদ্ধবিরতির পর গাজায় পুনরায় হামলা চালানোর অধিকার বজায় রাখতে। অপরদিকে, হামাস বলেছে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা না পেলে তারা অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতেও রাজি নয়।
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প এখন উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতা আনার চেষ্টা করছেন। স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি হয়তো দুই পক্ষকেই সন্তুষ্ট রাখতে চাইছেন।
আরব মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো—বিশেষ করে কাতার ও মিসর—এই বিরোধপূর্ণ বিষয়গুলোর সমাধান খুঁজতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে, পরশুদিন ট্রাম্প প্রকাশ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান। পরে হোয়াইট হাউস থেকেও জানানো হয়, “ট্রাম্প গাজায় আর হত্যাযজ্ঞ দেখতে চান না। তাই যুদ্ধ বন্ধে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন।”
এদিকে আগামী সোমবার হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ট্রাম্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তার আগেই ইসরায়েলের ওপর যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।