জুলাই গণহত্যা নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদনকে ‘ঐতিহাসিক দলিল’ ঘোষণা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২৫, ০২:১৬ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যার বিচারের দাবি এবং জাতিসংঘের প্রতিবেদনকে ‘ঐতিহাসিক দলিল’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি, আগামী তিন মাসের মধ্যে এটিকে ‘জুলাই রেভুলেশন-২০২৪’ হিসেবে গেজেট আকারে প্রকাশ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলাটিকে চলমান মামলা হিসেবেও ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রিটকারী আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ জানান, আদালত জানতে চেয়েছেন কেন জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন সম্পর্কিত জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং প্রতিবেদনকে ‘ঐতিহাসিক দলিল’ হিসেবে ঘোষণা করা হবে না। একইসঙ্গে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের গবেষণা ও জ্ঞান আহরণের জন্য প্রতিবেদনটি সংরক্ষণ না করার ব্যাখ্যাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন : ৬ লাশ পোড়ানো মামলায় ১৬ জনের বিচার শুরু
মূলত এ রুলের ওপর রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারিত ছিল ৩ আগস্ট। তবে রাষ্ট্রপক্ষ সময় চাওয়ায় আজ রায় ঘোষণা করা হয়।
এর আগে গত বছরের ১৩ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ হাইকোর্টে একটি রিট করেন। রিটে ফ্যাসিবাদী শাসন টিকিয়ে রাখা এবং জুলাই–আগস্ট গণহত্যায় দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয়। প্রাথমিক শুনানি শেষে গত ১৫ আগস্ট হাইকোর্ট রুল জারি করে, যেখানে প্রশ্ন তোলা হয় কেন নিরীহ মানুষ হত্যার ঘটনায় দায়ীদের বিচারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হবে না।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের (ওএইচসিএইচআর) তথ্যানুসন্ধান দল ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। গুরুতর আহত ও বহু বিক্ষোভকারীর সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তৈরি প্রতিবেদনটি গত ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয় এবং চলতি মাসে রিট আবেদনকারীর সম্পূরক আবেদনে যুক্ত করা হয়।