সাবেক আইজিপি মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৪৩ পিএম
সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন। ছবি : সংগৃহীত
চব্বিশের জুলাই–আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হওয়ায় সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মামলার দুই প্রধান আসামি শেখ হাসিনা ও কামাল বর্তমানে পলাতক থাকলেও আল-মামুন গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় এক বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন।
সোমবার বেলা ১২টা ৩০ মিনিটে ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল রায় পড়া শুরু করেন। তিন বিচারকের ক্রমানুসারে রায়ের ৪৫৩ পৃষ্ঠার সারাংশ পাঠ করতে সময় লাগে প্রায় দুই ঘণ্টা ১০ মিনিট।
আরো পড়ুন : শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের মৃত্যুদণ্ড
দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে প্রথমে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হয়। উসকানি, মারণাস্ত্র ব্যবহার, ড্রোন ও হেলিকপ্টার ব্যবহারের নির্দেশ এবং আবু সাঈদ হত্যা—অভিযোগ-১ এ তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর চানখারপুলে ছয় হত্যা ও আশুলিয়ায় ছয় লাশ পোড়ানোর অভিযোগ-২ এ মৃত্যুদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল।
একই অভিযোগ-২–এর দায়ে আসাদুজ্জামান খান কামালকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে চৌধুরী আল-মামুন রাজসাক্ষী হয়ে স্বেচ্ছায় সত্য জবানবন্দি দেওয়ায় আদালত তার প্রতি নমনীয়তা দেখিয়ে পাঁচ বছরের দণ্ড নির্ধারণ করেন।
সোমবার সকালে কড়া নিরাপত্তায় কারাগার থেকে তাকে প্রিজনভ্যানে করে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়।
গত ১৩ নভেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়েছিল। মামলার মোট ২৮ কার্যদিবসে ৫৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য–জেরা শেষে এবং আরো ৯ কার্যদিবসে প্রসিকিউশন ও স্টেট ডিফেন্সের যুক্তিতর্ক–খণ্ডন শেষে রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।
এ মামলায় তিন আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। এর মধ্যে রয়েছে উসকানি, মারণাস্ত্র ব্যবহার, আবু সাঈদ হত্যা, চানখারপুলে হত্যা ও আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার ও শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার। সাক্ষী করা হয়েছে ৮৪ জনকে। গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে এ মামলার প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
