ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানিতে স্থগিতাদেশ বহাল: কানাডার স্পষ্ট বার্তা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২৫, ১১:৪৩ এএম

কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনিতা আনন্দ। ছবি : সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহার ঠেকাতে ইসরায়েলের ওপর আরোপিত অস্ত্র রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে কানাডা।
দেশটির সরকার স্পষ্ট জানিয়েছে, গাজায় সামরিকভাবে ব্যবহারের শঙ্কা রয়েছে এমন কোনো পণ্য রপ্তানির জন্য নতুন কোনো লাইসেন্স ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে আর অনুমোদন করা হয়নি।
শনিবার (২ আগস্ট) এক বিবৃতিতে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনিতা আনন্দ বলেন, গাজায় ব্যবহারের ঝুঁকি রয়েছে এমন সব সামরিক পণ্যের লাইসেন্স আমরা বছরের শুরুতেই স্থগিত করেছি, এখনও তা বহাল আছে। নতুন কোনো লাইসেন্স ইস্যু হয়নি।
সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা সত্ত্বেও কানাডা থেকে ইসরায়েলে অস্ত্র যাচ্ছে।
আরো পড়ুন : ট্রাম্পের শুল্ক হুমকি উপেক্ষা করে রাশিয়ার তেল কিনবে ভারত
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী আনন্দ বলেন, প্রতিবেদনের কিছু অংশ বিভ্রান্তিকর এবং বাস্তবতাকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছে। প্রতিবেদনে যেগুলোকে গুলি বলা হয়েছে, সেগুলো আসলে পেইন্টবল ধরনের এবং এর সঙ্গে এমন যন্ত্রও ছিল যা আগ্নেয়াস্ত্রকে অকার্যকর করে তোলে। এগুলো যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য নয়।
তিনি বলেন, লাইসেন্স স্থগিত হওয়ার আগে থেকেই কোনো কানাডীয় কোম্পানি ইসরায়েলে মর্টার সরবরাহ করেনি, সরাসরি বা অন্য কোনো মাধ্যমেও নয়। যদি কেউ বৈধ লাইসেন্স ছাড়া সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানি করে, তাহলে আইন অনুযায়ী জরিমানা, জব্দ ও ফৌজদারি অভিযোগসহ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেন আনন্দ।
তবে সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড বিয়ন্ড ওয়্যার, ফিলিস্তিনি যুব আন্দোলন, কানাডিয়ানস ফর জাস্টিস অ্যান্ড পিস ইন দ্য মিডল ইস্ট, এবং ইনডিপেনডেন্ট জিউিশ ভয়েসেস নামের চারটি মানবাধিকার সংগঠন অভিযোগ করেছে, ইসরায়েলি ট্যাক্স কর্তৃপক্ষের নথি অনুযায়ী এখনো কানাডা থেকে ‘মিলিটারি ওয়েপন পার্টস ও অ্যামুনিশন’ রপ্তানি হচ্ছে।
অটোয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে ফিলিস্তিনি যুব আন্দোলনের নেত্রী ইয়ারা শুফানি বলেন, কানাডা সরকার অস্বীকার করলেও তথ্য-প্রমাণ বলছে, তারা এখনো ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ করছে। সংগঠনগুলো এই দাবির পক্ষে বাণিজ্যিক শিপমেন্টের নথিও উপস্থাপন করেছে।