×

জাতীয়

বিজ্ঞাপন নির্ভরতা দেশের টেলিভিশনের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ: কে এম মাহমুদ হাসান

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৫, ০৫:২২ পিএম

বিজ্ঞাপন নির্ভরতা দেশের টেলিভিশনের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ: কে এম মাহমুদ হাসান

কে এম মাহমুদ হাসান

বাংলাদেশে প্রথম স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলার অনুষ্ঠান ও সম্প্রচার বিভাগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কে এম মাহমুদ হাসান। দীর্ঘ ২৬ বছর যাবত তিনি অনুষ্ঠান বিভাগে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। অনুষ্ঠান প্রযোজক থেকে শুরু করে নিজ যোগ্যতা ও একাগ্রতায় অনুষ্ঠান বিভাগের শীর্ষ পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন এই নির্মাতা। এটিএন বাংলার ফ্যাগশিপ এবং বড় ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের পাশাপাশি পরিচালনার দায়িত্বও পালন করেছেন। এই গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব বর্তমানে অবকাশ যাপনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। এ বিষয়ে ভোরের কাগজকে বিশেষ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন কে এম মাহমুদ হাসান। 

ভোরের কাগজ: বর্তমানে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের জনপ্রিয়তা বাড়ছে, টেলিভিশনের জনপ্রিয়তা কমে যাচ্ছে। এর কারণ কি বলে আপনি মনে করেন?

কে এম মাহমুদ হাসান: তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে দিনে দিনে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের জনপ্রিয়তা বাড়ছে, যা টেলিভিশনের জন্য হুমকি স্বরূপ। এই মাধ্যমে দর্শকরা খুব সহজেই তাদের হাতে থাকা ডিভাইসের মাধ্যমেই বিজ্ঞাপন ছাড়াই নাটক, সিনেমা বা পছন্দের অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারছেন। অন্যদিকে বর্তমানে টেলিভিশন চ্যানেলে বিজ্ঞাপনের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। বিজ্ঞাপনের আধিক্যের কারণে দর্শকরা টেলিভিশন বিমুখ হয়ে যাচ্ছেন। বিজ্ঞাপন প্রচারের ক্ষেত্রে লাগাম টেনে ধরার পাশাপাশি পে চ্যানেল ব্যবস্থায় না গেলে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর ভবিষ্যৎ হুমকির সম্মুখীন হতে পারে। বিজ্ঞাপনের উপর নির্ভরশীলতাই বাংলাদেশের টেলিভিশনের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ। 

ভোরের কাগজ: বিজ্ঞানের উপর নির্ভরশীলতা কমানোর জন্য কি ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন?

কে এম মাহমুদ হাসান: আমি মনে করি টেলিভিশন চ্যানেলের কর্ণধারদের কালক্ষেপণ না করে পে চ্যানেল ব্যবস্থায় চলে যাওয়া প্রয়োজন। এতে করে গ্রাহকদের মাধ্যমে চ্যানেলগুলো একটি বড় অংকের রেভিনিউ আয় করতে সমর্থ হবে। তখন বিজ্ঞানের উপর নির্ভরশীলতা কমানো সম্ভব হবে। তাছাড়া পে চ্যানেলের মাধ্যমে বাড়তি আয় হবে এবং চ্যানেলগুলোর মধ্যে ভালো অনুষ্ঠান নির্মাণের প্রতিযোগিতা বাড়বে। 

ভোরের কাগজ: দীর্ঘ দিনের ক্যারিয়ারে আপনি অসংখ্য বড় ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের পাশাপাশি পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেছেন। আপনার অভিজ্ঞতার কথা বলুন?

কে এম মাহমুদ হাসান: এটিএন বাংলার জন্মলগ্ন থেকে আমি চ্যানেলটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছি। প্রতি বছর বর্ষপূর্তির বিশেষ অনুষ্ঠানগুলো আমি আয়োজন করেছি। পাশাপাশি অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বও পালন করেছি। আমি যেহেতু নিজে একজন নির্মাতা সেই সুবাদে মিডিয়ার সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে। যার ফলে তারকা শিল্পীদের নিয়ে অনুষ্ঠান আয়োজন করতে আমার কোন সমস্যা হয়নি। পরিচালনার কাজে নিজেকে আরও দক্ষ করে তোলার জন্য আমি ফিল্ম এন্ড মিডিয়া বিষয়ের উপর স্নাকত্তোর ডিগ্রী অর্জন করেছি। 

ভোরের কাগজ: বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি আপনি তো বেশি কিছু প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন? 

কে এম মাহমুদ হাসান: পরিচালক হিসেবে দায়বদ্ধতা থেকেই আমি বেশ কিছু প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছি। কেননা একটি বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান বা নাটকের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত দর্শকদের আগ্রহ থাকে। কিন্তু প্রামাণ্যচিত্রের গ্রহণযোগ্যতা দীর্ঘদিন থাকে। তাছাড়া এ ধরনের অনুষ্ঠান নির্মাণের জন্য যেসব তথ্য, উপাত্ত থাকে তাতে করে অনেকেই উপকৃত হন।  

টেলিভিশন অনুষ্ঠানের পাশাপাশি আপনি তো নাটক পরিচালনা করেন? 

কে এম মাহমুদ হাসান: এটিএন বাংলার জন্য দেশের শীর্ষস্থানীয় নির্মাতাদের দিয়ে নাটক নির্মাণ করিয়েছি। শুটিং স্পটে থেকে কাজ পর্যবেক্ষণ করেছি। টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণের অভিজ্ঞতা এবং ফিল্ম এন্ড মিডিয়া বিষয়ের উপর স্নাকত্তোর আমাকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। এভাবে নাটক নির্মাণের জন্য আমি দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে তৈরি করেছি। এরপর নাটক নির্মাণ করেছি। আমার পরিচালিত বেশ কিছু নাটক বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচার হয়েছে। নাটক নির্মাণের ক্ষেত্রে টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব নওয়াজীশ আলী খানের মূল্যবান পরামর্শ আমাকে উজ্জীবিত করেছে।  

ভোরের কাগজ: নাটক পরিচালনার জন্য পুরস্কারও তো পেয়েছেন? 

কে এম মাহমুদ হাসান: ‘আমি তুমি ও সে’ শিরোনামের একটি নাটক পরিচালনার জন্য শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশ বিনোদন সাংবাদিক সমিতি (বাবিসাস) এবং টেলিভিশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ট্র্যাব কর্তৃক প্রদত্ত অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি। যে কোন পুরস্কারই অনুপ্রেরণা জোগায়, কাজের আগ্রহ বাড়ায়। আমার ক্ষেত্রেও তার কোন ব্যতিক্রম হয়নি। পুরস্কার প্রাপ্তি আমাকে আরও বেশি দায়িত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন একটাই লক্ষ্য, দর্শকদের যেন আগের থেকে আরও ভালো কাজ উপহার দিতে পারি। 

ভোরের কাগজ: কোন ধরনের অনুষ্ঠান পরিচালনা বেশি চ্যালেঞ্জিং মনে হয় এবং চ্যালেঞ্জ নিতে ভালো লাগে?

কে এম মাহমুদ হাসান: দর্শক উপস্থিতিতে বড় ধরনের লাইভ প্রোডাকশন যেখানে মাল্টিক্যামেরা অপারেশন থাকে সে ধরনের অনুষ্ঠান বেশ চ্যালেঞ্জিং। এসব অনুষ্ঠানে সময় মতো শিল্পীদের উপস্থিতি মেইনটেইন করা এবং তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্ত নেয়াটা খুব জরুরী। এ ধরনের অনুষ্ঠান চ্যালেঞ্জিং কিন্তু চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোই লাগে।

ভোরের কাগজ: অনুষ্ঠান পরিচালনা নিয়ে ভবিষ্যৎ কোন পরিকল্পনা আছে কি?

কে এম মাহমুদ হাসান: বড় পর্দাকে ঘিরে প্রতিটি নির্মাতারই স্বপ্ন থাকে। ফিল্মের উপর মাস্টার্স করেছি, কিন্তু সিনেমা নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। তাই ভবিষ্যতে সিনেমা তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। 

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ফের কলমবিরতি ঘোষণা

এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ফের কলমবিরতি ঘোষণা

আরো ৩৫২ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি, একজনের মৃত্যু

আরো ৩৫২ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি, একজনের মৃত্যু

বিজ্ঞাপন নির্ভরতা দেশের টেলিভিশনের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ: কে এম মাহমুদ হাসান

বিজ্ঞাপন নির্ভরতা দেশের টেলিভিশনের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ: কে এম মাহমুদ হাসান

ঢামেক অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

ঢামেক অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App