স্ট্রোক করা মাকে হাসপাতালে পৌঁছে দিতে গিয়ে এইচএসসি পরীক্ষার হলে পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি আনিসা আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী। তবে ঘটনাটি গণমাধ্যমে প্রকাশের পর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়, আনিসা আহমেদের পরীক্ষার বিষয়টি মানবিক বিবেচনায় গুরুত্ব দিয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

যেখানে বলা হয়, চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন)। রাজধানীর সরকারি মিরপুর বাংলা কলেজ কেন্দ্রের শিক্ষার্থী আনিসা আহমেদ অসুস্থ মাকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসেন, কিন্তু সময়মতো কেন্দ্রে পৌঁছাতে না পারায় প্রথম দিনের বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি।

এ প্রসঙ্গে  শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে শিক্ষার্থীটির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। পাবলিক পরীক্ষা গ্রহণ সংক্রান্ত আইন ও বিধির আলোকে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষাটি নেওয়ার সম্ভাবনা পর্যালোচনা করা হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “এই কঠিন সময়ে আমরা আনিসা ও তার পরিবারের পাশে রয়েছি। তাকে উদ্বিগ্ন না হওয়ার অনুরোধ জানাই।”

ঘটনার প্রতি কর্তৃপক্ষের এমন সহানুভূতিশীল মনোভাব অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের মধ্যে স্বস্তি ও আশার সঞ্চার করেছে। এখন আনিসার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া যায় কিনা—সেটিই দেখার বিষয়।