পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ী হত্যা: ছাত্রদল নেতা রবিনের দায় স্বীকার

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৫, ০৭:০০ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর পুরান ঢাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে বীভৎসভাবে প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনায় তারেক রহমান রবিন নামে এক আসামি আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি ওয়ার্ড ছাত্রদলের নেতা বলে জানা গেছে।
শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিব উল্লাহ গিয়াসের আদালতে স্বেচ্ছায় এ জবানবন্দি দেন রবিবান। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
আসামি তারেক রহমান রবিন আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের এজাহারভুক্ত আসামি। তিনি রাজধানীর চকবাজার থানার ৩০ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রবিনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানা। রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দেন তিনি।
গত ৯ জুলাই সন্ধ্যায় রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনে পাকা রাস্তার ওপর সোহাগকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। পরে সুরতহাল শেষে মরদেহ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নিহত সোহাগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মিটফোর্ড এলাকার ৪ নম্বর রজনী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করতেন। তার গ্রামের বাড়ি বরগুনায়।
এদিকে এই হত্যাকাণ্ডটি আলোচনায় আসে দুই দিন পর শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকেলে। ওই হত্যাকাণ্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয় এবং প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
পুলিশ জানায়, সোহাগ হত্যার ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় দুটি মামলা হয়। একটি হত্যা মামলা অপরটি অস্ত্র মামলা। হত্যা মামলাটি করেন নিহতের বোন। এতে আসামি করা হয়েছে ১৯ জনকে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১০-১৫ জনকে। এরমধ্যে হত্যা মামলায় মাহমুদুল হাসান মহিনকে পাঁচ দিন এবং তারেক রহমান রবিনকে অস্ত্র মামলায় দুই দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।