১১ মাসে পুলিশের বিরুদ্ধে ৭৬১ মামলা, গ্রেপ্তার ৬১ : টিআইবি

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৫, ০১:১২ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
গণ-অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সরকার পতনের পরবর্তী ১১ মাসে সারাদেশে পুলিশের বিরুদ্ধে ৭৬১টি মামলা হয়েছে, যেখানে আসামির তালিকায় রয়েছেন এক হাজার ১৬৮ জন পুলিশ সদস্য। এদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৬১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
টিআইবি জানিয়েছে, কিছু বিভাগীয় পদক্ষেপ ছাড়া পুলিশের বিরুদ্ধে কার্যকর জবাবদিহি নিশ্চিত করতে সরকারের সদিচ্ছা ও সক্ষমতার ঘাটতি রয়ে গেছে।
সোমবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে ‘নতুন বাংলাদেশ : কর্তৃত্ববাদী সরকার পতন-পরবর্তী এক বছরের ওপর পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
আরো পড়ুন : শুধু ভুল নয়, সরকারের ভালো দিকও তুলে ধরুন : অর্থ উপদেষ্টা
টিআইবির ফেলো শাহজাদা এম আকরাম জানান, ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, হত্যার ইন্ধন ও নির্দেশদানের অভিযোগে সারাদেশে এক হাজার ৬০২টি মামলা হয়েছে, যার মধ্যে ৬৩৮টি হত্যা মামলা। এরই মধ্যে প্রায় ৮৭ জন সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছেন। প্রায় ৭০ শতাংশ মামলার তদন্তে সন্তোষজনক অগ্রগতি হয়েছে এবং ৬০-৭০টি হত্যা মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
শাহজাদা এম আকরাম বলেন, এক বছরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল নতুন করে ৪২৯টি অভিযোগ ও ২৭টি মামলা গ্রহণ করেছে। শেখ হাসিনাসহ ২০৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা চলমান, যাদের মধ্যে ৭৩ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। সংশোধিত আইন কার্যকর হওয়ার আগেই এই বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তবে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমে কিছুটা ধীরগতি রয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন হয়েছে এবং তাদের বিচার শুরু হয়েছে। এছাড়া ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় (১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত) দায়ের হওয়া প্রায় সব হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, ফেলো মো. জুলকারনাইন ও ফারহানা রহমানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।