×

মতামত

হযবরল সমাজ ব্যবস্থার দিন শেষ, সুখ ও শান্তির বাংলাদেশ

Icon

ড. মো. মঞ্জুরে মওলা, ফিনল্যান্ড থেকে

প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৫, ০৪:৫৪ এএম

হযবরল সমাজ ব্যবস্থার দিন শেষ, সুখ ও শান্তির বাংলাদেশ

সুখ ও শান্তির বাংলাদেশের প্রতীকী ছবি বানিয়েছে ভোরের কাগজ গ্রাফিক্স টিম

   

সুমিষ্ট সুগন্ধ আর রঙের আভিজাত্যে অনন্য ‘বিচিত্রা’ ফুলের ইংরেজি নাম ‘টুডে-ইয়েস্টারডে-টুমরো’। নির্দিষ্ট সময়ে প্রকৃতিতে রং পরিবর্তন করে বিচিত্র এ ফুল, তাই এর নাম বিচিত্রা। অন্যদিকে, প্রকৃতিরই অংশ বিচিত্র মানুষ, আরও বিচিত্র তার চিন্তা-ভাবনা। যেমন, বাংলাদেশে মানুষের বিচিত্র চিন্তা-ভাবনার ফলে বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় এক হযবরল অবস্থা বিরাজ করছে। এ নিয়ে ব্যক্তিগত মতাদর্শে প্রভাবিত বুদ্ধিজীবী ও গুণীজনেরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে আলোচনা অব্যাহত রেখেছেন। পাশাপাশি, বিশ্বের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মঞ্চে ব্যবস্থা-বিশ্লেষকদের (সিস্টেম থিঙ্কার) মধ্যে বাংলাদেশের দুরারোগ্য দুর্নীতি নিয়ে বিতর্ক চলছে। ফলে, বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা সম্পর্কে জনগণের মনে জ্ঞান ও আবেগের তাড়নায় বহু প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। যেমন: বর্তমান সমাজব্যবস্থা কী? কোন তন্ত্রের দর্শনে বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা পরিচালিত হচ্ছে? কেন সমাজ ব্যবস্থা পরিবর্তনের ব্যারোমিটার এত দ্রুত ওঠানামা করছে? এই প্রশ্নগুলোকেই সামনে রেখে আজকের নিবন্ধ।

স্থানীয়, আঞ্চলিক, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের আন্তঃবিভাগীয় ও বহুমাত্রিক বিজ্ঞানীদের মতে, মানুষের চিন্তাভাবনার জটিল জাল এবং এর সঙ্গে হৃদয় ও স্নায়ুতন্ত্রের পারস্পরিক ক্রিয়ার ফলস্বরূপ বর্তমান সমাজব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে অর্থনীতি, রাজনীতি এবং সংস্কৃতি আমাদের জীবনের প্রবহমান ধারায় এক অসাধারণ বলয় তৈরি করে। এই বলয়টি অনুপস্থিত থাকলে জীবনযাপনের সুশৃঙ্খল ও সরল পদ্ধতি ব্যাহত হয়। দীর্ঘদিন ধরে শৃঙ্খলিত জীবনযাপনের অনুপস্থিতিতে পৃথিবীর যেকোনো ভৌগোলিক অঞ্চলের মানুষ মধ্যযুগে ফিরে যেতে পারে। তখন সমাজব্যবস্থা অনুপস্থিত ছিল; মানুষ প্রকৃতির রাজ্যে বাস করত, ক্যানিবালিজম (নরমাংস ভোজন) প্রথার প্রচলন থাকায় দুর্বল গোত্রের ওপর শক্তিশালী গোত্র আক্রমণ বা অত্যাচার করলে দুর্বল গোত্রকে রক্ষা করার কোনো আইনসম্মত ব্যবস্থা কার্যকর ছিল না।

যুগের পরিবর্তনে মধ্যযুগীয় সেই ক্যানিবালিজম প্রথাই বাংলাদেশে যেন বিভিন্ন আঙ্গিকে ফিরে এসেছে, বিশেষত দুরারোগ্য দুর্নীতির মহামারির রূপে। তাই আজ দুর্বৃত্ত-ধনিকদের দাপট দৃশ্যমান। ওরা ‘ব্ল্যাক ফ্লাই’ মাছির মতো বিষাক্ত; স্বার্থের দ্বন্দ্বে ওরা অন্যকে করে রক্তাক্ত। এমন দ্বন্দ্বমুখর সমাজেই মানুষের "নাটকীয় জীবনের পথ চলা" দৃশ্যমান হয়। ষড়যন্ত্র তত্ত্ব অনুযায়ী, এই নাটকীয় জীবনের পথে সমাজে অদৃশ্যভাবে রাজত্ব করে "বিজ্ঞাপন"।

হয়তো একারণেই, তবলার তান তোলার মতো দ্রুত গতিতে দেশের অনিন্দ্যসুন্দর সমাজব্যবস্থাকে বিজ্ঞাপনের চাদরে ঢেকে ফেলার এক তৎপরতা শুরু হয়েছে। যা অনেকটা দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক বং জুন-হো পরিচালিত, সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত অস্কারজয়ী চলচ্চিত্র "প্যারাসাইট" (পরজীবী)-এর মতো। "প্যারাসাইট" ছবিতে উপস্থাপিত অনেক অপ্রকাশ্য বার্তার মধ্যে একটি হলো, রৈখিক অর্থনীতির ওপর নির্ভরশীল পুঁজিবাদী সমাজ মধ্যযুগের ক্যানিবালিজম (রূপক অর্থে) প্রথার দিকে ধাবমান। এই ধরনের পুঁজিবাদী সমাজের কথা ভেবে অষ্টাদশ শতাব্দীতে খ্যাতিমান চিন্তাবিদরা বলেছিলেন, "সমকালীন সমাজ কাঠামো ব্যক্তির বিকাশের পথে অন্তরায়, যা মানুষকে মানুষের মুখোমুখি করে দেয়, তাকে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হতে বাধ্য করে।"

বস্তুত, সবুজবান্ধব সমাজ গঠন তথা সমকালীন সমাজ কাঠামো নিয়ে মানুষের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। তাই, গত আশির দশকে বাংলাদেশি শিল্পী তপন চৌধুরীর গাওয়া "যেতে যেতে কেন পড়ে বাঁধা" গানটি সমাজ জীবনে আজও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। কারণ, এই গানের কথার মতোই – ‘আমাদের দিন যায়, রাত আসে, মাস যায়, বছর আসে, আর সুন্দর দেশের স্বপ্ন আমাদের চোখের মণিতে ভাসে।’

হয়তো তাই, সুন্দর দেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য গত ৮ অগাস্ট ২০২৪ (এখানে তারিখটি সম্ভবত ৮ অগাস্ট ২০২২ হবে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়কাল অনুসারে, তবে মূল রচনায় উল্লিখিত তারিখটি রাখা হলো) থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস তাঁর বিভিন্ন বক্তব্যে সমাজের এই চিত্র, সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা, বৈষম্যহীন দেশের আকাঙ্ক্ষা, চার কোটি দরিদ্র মানুষের দুর্দশা, গণতন্ত্র এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নের কথা তুলে ধরেছেন। উদাহরণস্বরূপ, গত এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন ২০২৫-এর অনুষ্ঠানে প্রদত্ত উৎসাহব্যঞ্জক ভাষণে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে ব্যবসা প্রসারের আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন, বিশ্বকে বদলে দেওয়ার মতো অভিনব সব ধারণা রয়েছে বাংলাদেশের।

ড. ইউনূসের বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলনের ভাষণ নিবিষ্ট মনে শ্রবণকারী দেশপ্রেমিক জনগণ জানতে চায়, এই উৎসাহব্যঞ্জক ভাষণের মূল লক্ষ্য কী? (ক) চীনের মতো অর্থনৈতিক হাব তৈরি করা, (খ) মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল (এমডিজি) ২০৩০-এর মাধ্যমে দেশের উন্নতি সাধন করা, নাকি (গ) বিদেশি বিনিয়োগকারীরা কোন অর্থনৈতিক মডেল (রৈখিক নাকি বৃত্তাকার) অনুসরণ করে দেশে ব্যবসা করতে আসবেন?

জনগণ আরও জানতে চায়, দেশে টেকসই অর্থনীতির নীতিনির্ধারক কারা? এই প্রশ্নের ব্যবচ্ছেদে দেখা যায়: (i) রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে অর্থনীতির স্বরূপ অনুধাবন করা প্রয়োজন, (ii) গত বছর ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে সাক্ষীগোপালে পরিণত করা হয়েছিল; জনগণ ও বুদ্ধিসমাজ কেউই এই অবস্থার পুনরাবৃত্তি চান না, এবং (iii) জনগণের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক সুদৃঢ় ও স্বচ্ছ হওয়া একান্ত প্রয়োজন। হয়তো এই সম্পর্কের অভাবেই বাংলাদেশের আশেপাশে বলিষ্ঠ জাতীয়তাবাদের উত্থান ঘটতে পারে। এই কারণেই কি ড. ইউনূস বলেছেন, "এমন বিশ্বে আমরা বাস করি, প্রতিনিয়ত যুদ্ধের হুমকি আমাদের ঘিরে থাকে। কাজেই এই পরিস্থিতির মধ্যে প্রস্তুতি না নেওয়াটা আত্মঘাতী"? এই বিবৃতির অর্থ দাঁড়ায়, দেশ এখন গভীর ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি, যা দেশের জনগণকে আতঙ্কিত করে তুলেছে।

দেশের এই পরিস্থিতি সংক্রান্ত বিবৃতি শুনে আতঙ্কিত জনগণের উদ্দেশে, বিচক্ষণ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের অন্যতম, বিপুল জনসমর্থনপুষ্ট রাজনৈতিক দল বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, "জাতীয়তাবাদী শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না।" অন্যদিকে, কতিপয় সমাজচিন্তকের মতে, ড. ইউনূসের বক্তব্যে সুস্পষ্ট বলিষ্ঠ (বা উগ্র) জাতীয়তাবাদের লক্ষণ প্রতীয়মান। উগ্র জাতীয়তাবাদ বাংলাদেশে নতুন যুদ্ধের জন্ম দিতে পারে, যেমনটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে (১৯৩৯-১৯৪৫) জার্মান সেনাবাহিনীর বর্বরতার মূলে উগ্র জাতীয়তাবাদই জলসিঞ্চন করেছিল। এই আলোচ্য বিষয়ের সূত্র ধরে বলা যেতে পারে, বাংলাদেশের মানুষ উগ্র জাতীয়তাবাদ নিয়ে যতটা চিন্তিত, তার চেয়ে বেশি চিন্তিত বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা তথা দেশের সামগ্রিক উন্নতি নিয়ে। কারণ, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে সংস্কারের নামে, রাজনীতির নামে, ভূ-রাজনীতির নামে, অর্থনীতির নামে, বৈদেশিক সাহায্যের নামে দেশের অভ্যন্তরে এক ধরনের ভীতি, অস্থিতিশীলতা, অরাজকতা, অনিশ্চয়তা এবং পরনির্ভরশীলতা সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে। অন্তরের প্রশ্ন হলো, দেশে এ ধরনের অবস্থা তৈরির পেছনে কারা পৃষ্ঠপোষকতা করছে? প্রিয় পাঠক, এই প্রশ্নের উত্তর হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যানিমেটর ও কার্টুনিস্ট ওয়াল্টার ক্রফোর্ড কেলি জুনিয়র (১৯১৩-১৯৭৩) এর তৈরি পোগো কার্টুনের সেই বিখ্যাত উক্তিতে: "আমরা শত্রুর সাথে মিলিত হয়েছি এবং সে শত্রু আমরাই।"

উপরের অনুচ্ছেদে উল্লিখিত পোগো কার্টুনটি পরোক্ষভাবে নির্দেশ করে যে, বিজ্ঞাপনের এই অদৃশ্য রাজত্ব পরিচালনাকারী গোষ্ঠী বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের প্রকৃত চেহারা ঢেকে রেখে একটি কৃত্রিম মুখোশকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। অর্থাৎ, আমাদের সমাজে সাধারণ মানুষের সম্ভাবনাকে পুঁজি করে রাজনীতি এবং কূটনীতি পরিচালিত হচ্ছে, যা বন্ধ করা অতীব জরুরি। নতুবা, মেক্সিকোর টিলটেপেক গ্রামের (যে গ্রামের সকলেই দৃষ্টিহীন হয়ে যায়) মতো আমাদের সমাজও অন্ধ হয়ে যাবে। তাই, বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতির এই ক্ষয়িষ্ণু সময়েও যারা টিকে আছেন, সেই রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বর্তমান সমাজ বা দেশ নিয়ে আলোচনার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন, যা এভাবে ব্যক্ত করা যেতে পারে:

অপরূপ নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশে, বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় লাল শৈবালসমৃদ্ধ সামুদ্রিক দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে (নারিকেল জিঞ্জিরা/দারুচিনি দ্বীপ) বসে আলোচনার বিষয় হতে পারে "পৃথিবীতে সুখ ও শান্তির মডেল: বাংলাদেশ"। এখনই আলোচনার আদর্শ সময়। আমন্ত্রিত মিয়ানমার, ভারত, পাকিস্তান, চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া যদি তাদের অভিন্ন স্বার্থের ভিত্তিতে বর্তমান আকাঙ্ক্ষাগুলোকে এক বিন্দুতে মেলাতে পারে, তাহলে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বেই দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের এই আলোচনা-পরিকল্পনা চূড়ান্তভাবে সফল হতে পারে। ফলে, দেশে বিজ্ঞাপনের রাজত্বের পরিবর্তে একটি সুশৃঙ্খলভাবে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করবে।

হয়তো তখন থেকেই: (১) সমাজনীতি, অর্থনীতি, রাজনীতি এবং সংস্কৃতি আমাদের জীবনের প্রবহমান ধারায় এক অসাধারণ বলয়ের চাকা সচল করবে, (২) দুর্বৃত্ত-ধনিকেরা পলায়নের পথ খুঁজবে, (৩) সমাজ ব্যবস্থা পরিবর্তনের ব্যারোমিটার দ্রুত ওঠানামা করবে না, (৪) সবুজবান্ধব সমাজ গড়ার শুভ সূচনা হবে, এবং (৫) বিচিত্রা ফুলের মতো সুমিষ্ট সুবাস বয়ে আনবে বাংলার ঘরে ঘরে। প্রিয় পাঠক, দেশের ঠিক এমন অবস্থায় আপনার মুখের মিষ্টি হাসিই আমাদের তথা বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দেবে – বর্তমান হযবরল সমাজ ব্যবস্থার দিন শেষ, সুখ ও শান্তির বাংলাদেশ। 

লেখক: ড. মো. মঞ্জুরে মওলা, সমাজবিজ্ঞানী, টেকসই নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও বৃত্তাকার অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ, ফিনল্যান্ড

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

পার্বত্য অঞ্চলে রবির ৫১টি মোবাইল টাওয়ারে নাশকতা!

পার্বত্য অঞ্চলে রবির ৫১টি মোবাইল টাওয়ারে নাশকতা!

ধেয়ে আসতে শুরু করেছে শক্তি, উত্তাল সমুদ্র

ধেয়ে আসতে শুরু করেছে শক্তি, উত্তাল সমুদ্র

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ: সাগর উত্তাল, ঝড়ের আভাস, ভূমিধসের আশঙ্কা

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ: সাগর উত্তাল, ঝড়ের আভাস, ভূমিধসের আশঙ্কা

যেকোনো পরিস্থিতিতেই আগামী বছর জুনের মধ্যে নির্বাচন: ড. ইউনূস

যেকোনো পরিস্থিতিতেই আগামী বছর জুনের মধ্যে নির্বাচন: ড. ইউনূস

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App