বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছেন, জনগণের রায় নিয়ে তার দল ক্ষমতায় গেলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বেকার যুব-যুবাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেবে। সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল আয়োজিত সমাবেশে লন্ডন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা জানান। 

‘বিএনপি কর্মমুখী শিক্ষা বাস্তবায়নে কাজ করছে’- উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, দেশের অতি দরিদ্র ও দরিদ্র জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নেও প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিএনপি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পকে বিশ্ববাজারে ছড়িয়ে দিতেও কাজ করবে। এছাড়া বেকারত্ব দূরীকরণে শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত ও অশিক্ষিত বেকার যুব-যুবাদের বিভিন্ন দেশের ভাষা শিক্ষার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ করে তুলে তাদেরকে বিদেশে কাজ করার সক্ষমতা তৈরির বিষয়েও ব্যবস্থা নেবে।

‘জনগণই বিএনপির একমাত্র শক্তি’ এ কথা দৃঢ়তার সঙ্গে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্ষমতায় গেলে বিএনপি মানুষের ভোটের অধিকার ও বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে। এসময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জানান, দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। এজন্য তার দল বিএনপি মানুষের আশা-আকাঙ্খাকে ধারণ করে তা পূরণের লক্ষ্যে কাজ করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। আগামীতে বিএনপির নীতিই হচ্ছে জনগণের উন্নয়নের রাজনীতি। 

তিনি বলেন, তারা রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে সারা দেশে হেলথ কেয়ার চালু করবে। এসব হেলথ কেয়ারের  বেশির ভাগ কর্মী হবে নারী। সরকার গঠন করলে শহীদ জিয়াউর রহমানের খাল খনন কর্মসূচি আবারও শুরু করা হবে। 

জুলাই অভ্যুত্থানসহ স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে যারা জনগণের ন্যায্য অধিকার আদায়ের লড়াই-সংগ্রামে জীবন দিয়েছেন তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, গণতন্ত্রের জন্য তাদের এই অবদান দেশের মানুষ কখনোই ভুলবে না। তারা ইতিহাসে স্মরণযোগ্য হয়ে থাকবেন। 

ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে যুবদলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার কথা উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, শুধু অতীতের সাফল্যই নয়,ভবিষ্যতের পথ  নির্ধারণেও যুবদলকে ভূমিকা নিতে হবে। এজন্য  জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে।

তিনি যুবদলের প্রতিটি নেতা-কর্মীর উদ্দেশে বলেন, আমি আজ আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি আপনারা জনগণের প্রতি আস্থা রাখুন, তাদের আস্থার প্রতিদান দিন। কারণ, যে নেতৃত্ব জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারে, সেই প্রকৃত নেতা। আর জনগণের সহায়তা ছাড়া সফল নেতৃত্ব দেয়া কখনোই সম্ভব নয়।

জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ অনুষ্ঠানে মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্না অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়নের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।