ব্রাজিলের বিচারপতির ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২৫, ১১:০৭ এএম

ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আলেক্সান্দ্রে ডি মোরায়েস। ছবি : সংগৃহীত
ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আলেক্সান্দ্রে ডি মোরায়েস এবং তার আদালতের সহযোগী বিচারপতিদের পাশাপাশি তাদের নিকটাত্মীয়দের ভিসা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (১৯ জুলাই) গভীর রাতে এক্সে দেওয়া পোস্টে এই সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
রুবিও জানান, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন এমন বিদেশি নাগরিকদের জবাবদিহির আওতায় আনতে বদ্ধপরিকর, যারা যুক্তরাষ্ট্রে সংরক্ষিত মতপ্রকাশের অধিকারকে দমন করছে।
তার ভাষায়, ব্রাজিলের বিচারপতি মোরায়েস সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বোলসোনোরোর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ‘উইচ-হান্ট’ চালিয়ে এমন এক দমন ও সেন্সরশিপ কাঠামো তৈরি করেছেন, যা শুধু ব্রাজিলিয়ানদের নয়, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদেরও প্রভাবিত করছে।
রুবিও আরো বলেন, এ কারণে মোরায়েস, তার সহযোগী বিচারপতি ও তাদের পরিবারের ভিসা বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং তা সঙ্গে সঙ্গেই কার্যকর হয়েছে।
আরো পড়ুন : মাস্ক-ও’ডোনেল-মামদানির নাগরিকত্ব বাতিল করবেন ট্রাম্প?
এই ঘোষণা এমন এক সময়ে এলো, যখন ব্রাজিলের শীর্ষ আদালত বোলসোনোরোর বিরুদ্ধে একের পর এক কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে। আদালতের নির্দেশে বোলসোনোরোর বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নজরদারি ডিভাইস পরিয়ে দেয়। একইসঙ্গে বিদেশি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারেও স্থগিতাদেশ জারি করা হয়।
বিচারপতি মোরায়েসের যুক্তি, সাবেক এই প্রেসিডেন্ট দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন। তবে বোলসোনোরো রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তা অস্বীকার করে বলেন, আমি চরম অপমানিত বোধ করছি, আমি চার বছর দেশের প্রেসিডেন্ট ছিলাম।
যুক্তরাষ্ট্রের এই ভিসা বাতিলের ঘোষণা আসার মাত্র এক সপ্তাহ আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ব্রাজিলের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির হুমকি দেন। তিনি বলেন, বোলসোনোরোর বিচার অব্যাহত থাকলে দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশের পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের চেষ্টার অভিযোগে বোলসোনোরো ও তার ঘনিষ্ঠ মিত্রদের গত ফেব্রুয়ারিতে অভিযুক্ত করা হয়। আদালত ইতোমধ্যে সাবেক এই প্রেসিডেন্টকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত যেকোনো নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। বোলসোনোরো ও তার সমর্থকরা দাবি করছেন, এই মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সরকারবিরোধী শক্তিকে দমন করার অপচেষ্টা।